পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లిJ9e রবীন্দ্র-রচনাবলী নির্মলার প্রবেশ চন্দ্র। নির্মলা, শুনে খুশি হবে, শ্ৰীশবাবু এবং বিপিনবাবুর সঙ্গে এদের বিবাহের সম্বন্ধ স্থির হয়ে গেছে। তা হলে কুমারত্ৰত উঠিয়ে দেওয়া সম্বন্ধে প্রস্তাব উত্থাপন করাই दांछ्लT । নির্মলা। কিন্তু অবলাকাস্তবাবুর মত তো নেওয়া হয় নি— তাকে এখানে দেখছি 6व--- চন্দ্র। ঠিক কথা, আমি সেটা ভুলেই গিয়েছিলুম, তিনি আজ এখনো এলেন না কেন ? রসিক। কিছু চিন্তা করবেন না, তার পরিবর্তন দেখলে আপনার আরও আশ্চর্য হবেন । অক্ষয়। চন্দ্রবাবু এবারে আমাকেও দলে নেবেন। সভাটি যেরকম লোভনীয় হয়ে উঠল, এখন আমাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না । চন্দ্র। আপনাকে পাওয়া আমাদের সৌভাগ্য । অক্ষয় । আমার সঙ্গে সঙ্গে আর-একটি সভ্যও পাবেন । আজকের সভায় তাকে কিছুতেই উপস্থিত করতে পারলেম না। এখন তিনি নিজেকে স্বলভ করবেন না--- বাসরঘরে ভূতপূর্ব কুমারসভাটিকে সাধ্যমত পিণ্ডদান করে তার পরে যদি দেখা দেন। এইবার অবশিষ্ট সভ্যটি এলেই আমাদের চিরকুমার-সভা সম্পূর্ণ সমাপ্ত হয় ! শৈলের প্রবেশ শৈল। (চন্দ্রকে প্রণাম করিয়া) আমাকে ক্ষমা করবেন। ঐশ। এ কী, অবলাকাস্তবাবু— অক্ষয়। আপনার মত পরিবর্তন করেছেন, ইনি বেশ পরিবর্তন করেছেন মাত্র । রসিক। শৈলজ ভবানী এতদিন কিরাতবেশ ধারণ করেছিলেন, আজ ইনি আবার তপস্বিনীবেশ গ্রহণ করলেন । চন্দ্র। নির্মলা, আমি কিছু বুঝতে পারছি নে। নির্মলা। অন্যায়! ভারি অন্যায়! অবলাকাস্তবাৰু!— অক্ষয়। নির্মল দেবী ঠিক বলেছেন– অন্যায়! কিন্তু সে বিধাতার অন্যায়। এর অবলাকান্ত হওয়াই উচিত ছিল, কিন্তু ভগবান একে বিধবা শৈলবালা করে কী মঙ্গল সাধন করছেন সে রহস্ত আমাদের অগোচর । ,