পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ANO অঞ্চলে তব ঢালে ফুলফল, নীরবে আশিষ করে হিমাচল তব মস্তক চুমি। সিন্ধু তোমার পায়ের ধুলায় চরণে মলয় চামর দুলায়,- আমার জননী তুমি হে মোর ভারতভূমি ! vo< GKG ZIP NN ধন্য সে কোল ঋষির পারশে, দেবতাপূজার পুস্প-বরিযে, সে কোল পুণ্যতম। দেবমানবের আনন্দধাম যে কোলে জনম লভিয়াছে রাম, যে কোলে ভীষ্ম লভিলা বিরাম সেই কোলে নমোনমঃসেই কোলে বাস মম || ; r -चाक्षी। विभाथ ५७&8 | १ 88 অমলচন্দ্ৰ হােম ও যতীন্দ্রমোহন বাগচীর সীেজন্যে কল্পনার অন্য অনেকগুলি কবিতারও পাণ্ডুলিপি দেখিবার সুযোগ হইয়াছে এবং ঐ পাণ্ডুলিপির সাহায্যে অনেক কবিতা -রচনার কাল ও স্থান গ্রন্থে নির্দিষ্ট হইয়াছে। “আমার ধর্ম প্রবন্ধে ‘অশেষ’ ও ‘বৰ্ষশেষ কবিতা-প্রসঙ্গে কবি লিখিয়াছেনএর [এবার ফিরাও মোরে’ রচনার] পর থেকে বিরাটচিত্তের সঙ্গে মানবচিত্তের ঘাত-প্রতিঘাতের কথা ক্ষণে ক্ষণে আমার কবিতার মধ্যে দেখা দিতে লাগল। দুইয়ের এই সংঘাত, যে কেবল আরামের, কেবল মাধুর্যের, তা নয়। অশেষের দিক থেকে যে আহবান এসে। পীেছয় সে তো বাঁশির ললিত সুরে নয় - এ আহবান এ তো শক্তিকেই আহবান ; কর্মক্ষেত্রেই এর ডাক ; রসসম্ভোগের কুঞ্জকাননে নয়।-- এমনি করে ক্ৰমে ক্ৰমে জীবনের মধ্যে ধর্মকে স্পষ্ট করে স্বীকার করবার অবস্থা এসে পীেছল। যতই এটা এগিয়ে চলল ততই পূর্বজীবনের সঙ্গে আসন্ন জীবনের একটা বিচ্ছেদ দেখা । দিতে লাগল। অনন্ত আকাশে বিশ্বপ্রকৃতির যে শান্তিময় মাধুর্য আসনটা পাতা ছিল সেটাকে হঠাৎ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে বিরোধবিক্ষুব্ধ মানবলোকে রুদ্রবেশে কে দেখা দিল ? এখন থেকে দ্বন্দ্বের দুঃখ, বিপ্লবের আলোড়ন। সেই নূতন বোধের অভু্যুদয় যে কী রকম ঝড়ের বেশে দেখা দিয়েছিল, এই সময়কার “বৰ্ষশেষ কবিতার মধ্যে সেই কথাটি আছে। -আত্মপরিচয় “বৰ্ষশেষ কবিতা সম্বন্ধে কবি অন্যত্র বলিয়াছেন- i ১৩০৫ সালে বর্ষশেষ ও দিনশেষের মুহুর্তে একটা প্ৰকাণ্ড ঝড় দেখেছি। এই ঝড়ে আমার কাছে রুদ্রের আহবান এসেছিল। যা-কিছু পুরাতন ও জীর্ণ তার আসক্তি ত্যাগ করতে হবেঝড় এসে শুকনো পাতা উড়িয়ে দিয়ে সেই ডাক দিয়ে গেল। এমনিভাবে চিরনবীন যিনি তিনি