পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী রবিঠাকুরের দেখা সেইদিন মাত্তর, আজি তো বয়স তার কেবল আটাত্তর— সাতের পিঠের কাছে একফোটা ੋশত শত বরষের ওদের তারুণ্য । ছোটে আয়ু মানুষের, তবু একি কাণ্ড, এটুকু সীমায় গড় মনোব্ৰহ্মাও— কত সুখে দুখে গাথা, ইষ্টে অনিষ্টে, স্বন্দরে কুৎসিতে, তিক্তে ও মিষ্টে, কত গৃহ-উৎসবে, কত সভাসজ্জায়, কত রসে মজ্জিত অস্থি ও মজ্জায়, ভাষার-নাগাল-ছাড়া কত উপলব্ধি, ধেয়ানের মন্দিরে আছে তার স্তন্ধি । অবশেষে একদিন বন্ধন খণ্ডি অজানা অদৃষ্টের অদৃশু গণ্ডি অস্তিম নিমেষেই হবে উত্তীর্ণ। তখনি অকস্মাৎ হবে কি বিদীর্ণ এত রেখা এত রঙে গড়া এই স্থষ্টি, এত মধু-অঞ্জনে রঞ্জিত দৃষ্টি । বিধাতা আপন ক্ষতি করে যদি ধার্য নিজেরই তবিল-ভাঙা হয় তার কার্য, নিমেষেই নিঃশেষ করি ভরা পাত্র বেদন না যদি তার লাগে কিছুমাত্র, আমারই কী লোকসান যদি হই শূন্ত— শেষক্ষয় হলে কারে কে করিবে ক্ষুঞ্জ। এ জীবনে পাওয়াটারই সীমাহীন মূল্য, মরণে হারানোট তো নহে তার তুল্য। রবিঠাকুরের পালা শেষ হবে সম্ভ, । তখনো তো হেথা এক অখণ্ড অস্থ্য জাগ্রত রবে চির-দিবসের জন্তে এই গিরিতটে, এই নীলিম অরণ্যে ।