পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>くや রবীন্দ্র-রচনাবলী পঞ্চক। তোর সব পাপ আমি কেড়ে নেব, তুই বল । সুভদ্র । আমি আমাদের আয়তনের উত্তর দিকের— পঞ্চক । উত্তর দিকের ? সুভদ্র । হা, উত্তর দিকের জানলা খুলে— পঞ্চক। জানলা খুলে কী করলি ? সুভদ্র । বাইরেট দেখে ফেলেছি ! পঞ্চক । দেখে ফেলেছিল ? শুনে লোভ হচ্ছে যে । সুভদ্র ৷ ই পঞ্চকদাদ । কিন্তু বেশিক্ষণ না-—একবার দেখেই তখনই বন্ধ করে ফেলেছি। কোন প্রায়শ্চিত্ত করলে আমার পাপ যাবে ? পঞ্চক | ভুলে গেছি ভাই । প্রায়শ্চিত্ত বিশ-পচিশ হাজার রকম আছে ;–আমি যদি এই আয়তনে না আসতুম তাহলে তার বারে আনাই কেবল পুথিতে লেখা থাকত —আমি আসার পর প্রায় তার সব-কটাই ব্যবহারে লাগাতে পেরেছি, কিন্তু মনে রাখতে পারি নি । বালকদলের প্রবেশ প্রথম। অ্যা, সুভদ্র । তুমি বুঝি এখানে ! দ্বিতীয় । জান পঞ্চকদাদা, সুভদ্র কী ভয়ানক পাপ করেছে ? পঞ্চক। চুপ চুপ। ভয় নেই সুভদ্র, কাদছিস কেন ভাই ? প্রায়শ্চিত্ত করতে হয় তো করবি। প্রায়শ্চিত্ত করতে ভারি মজা। এখানে রোজই একঘেয়ে রকমের দিন কাটে, প্রায়শ্চিত্ত না থাকলে তো মানুষ টিকতেই পারত না । প্রথম। ( চুপিচুপি ) জান পঞ্চকদাদা, সুভদ্র উত্তর দিকের জানলা— পঞ্চক । আচ্ছা, আচ্ছা, সুভদ্রের মতো তোদের অত সাহস আছে ? দ্বিতীয় । আমাদের আয়তনের উত্তর দিকটা যে একজটা দেবীর । তৃতীয়। সেদিক থেকে আমাদের আয়তনে যদি একটুও হাওয়া ঢোকে তাহলে যে সে— পঞ্চক । তাহলে কী ? তৃতীয়। সে যে ভয়ানক । পঞ্চক। কী ভয়ানক শুনিই না । তৃতীয় । জানি নে, কিন্তু সে ভয়ানক । সুভদ্র। পঞ্চকদাদা, আমি আর কখনো খুলব না পঞ্চকদাদা। আমার কী হবে ?