পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ9్చ রবীন্দ্র-রচনাবলী আচার্য। উপাধ্যায়, কোনো সংবাদ আছে নাকি । উপাধ্যায়। অত্যন্ত মন্দ সংবাদ । আচার্য। অতএব সেটা সত্বর বলা উচিত। উপাধ্যায়। আচার্যদেব, সুভদ্র আমাদের আয়তনের উত্তর দিকের জানলা খুলে বাইরে দৃষ্টিপাত করেছে। { আচার্য। উত্তর দিকটা তো একজটা দেবীর । উপাধ্যায়। সেই তো ভাবনা । আমাদের আয়তনের মন্ত্রপূত রুদ্ধ বাতাসকে সেখানকার হাওয়া কতটা দূর পর্যন্ত আক্রমণ করেছে বলা তো যায় না । উপাচার্য। এখন কথা হচ্ছে এ পাপের প্রায়শ্চিত্ত কী । আচার্য । আমার তো স্মরণ হয় না । উপাধ্যায় বোধ করি— উপাধ্যায়। না, আমিও তো মনে আনতে পারি নে। আজ তিন-শ বছর এ প্রায়শ্চিত্তটার প্রয়োজন হয় নি—সবাই ভুলেই গেছে। ওই যে মহাপঞ্চক আসছে— যদি কারও জানা থাকে তো সে ওর । মহাপঞ্চকের প্রবেশ উপাধ্যায়। মহাপঞ্চক, সব শুনেছ বোধ করি। মহাপঞ্চক। সেই জন্যেই তো এলুম ; আমরা এখন সকলেই অশুচি, বাহিরের হাওয়া আমাদের আয়তনে প্রবেশ করেছে। উপাচার্য। এর প্রায়শ্চিত্ত কী, আমাদের কারও স্মরণ নেই। তুমিই হয়তে বলতে পার । s' মহাপঞ্চক। ক্রিয়াকল্পতরুতে এর কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না—একমাত্র ভগবান জলনানন্তকৃত আধিকর্মিক বর্ষায়ণে লিখছে, অপরাধীকে ছয়মাস মহাতামস সাধন করতে হবে । i উপাচার্য। মহাতামস ? মহাপঞ্চক। ইl, ওকে অন্ধকারে রেখে দিতে হবে, আলোকের এক রশ্মিমাত্রও দেখতে পাবে না । কেননা আলোকের দ্বারা যে-অপরাধ অন্ধকারের দ্বারাই তার ক্ষালন । 鱷 উপাচার্য । তা হলে, মহাপঞ্চক, সমস্ত ভার তোমার উপর রইল । উপাধ্যায়। চলে আমিও তোমার সঙ্গে যাই। ততক্ষণ সুভদ্রকে হিজুমদনকুণ্ডে স্নান করিয়ে আনি গে । [ সকলের গমনোস্থ্যম