পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●&b" রবীন্দ্র-রচনাবলী ষেদিকে আমি বিশেষ ভাবে আছি সেই স্বাতন্ত্র্যের দিকে ঈশ্বরের বিশেষ আনন্দ কোনো মতেই আমাকে সকলের সঙ্গে মিলে যেতে দেয় না । বিধাতা আমাকে সকলের করেছেন আর বন্ধু আমাকে আপনার করেছেন—সেই সকলের সামগ্ৰী আমার প্রকৃতি, আর সেই তার আপনার সামগ্রী আমার জীবাত্মা । ২১ পৌষ । তিন প্রকৃতির দিকে নিয়ম, আর আমাদের আত্মার দিকে আনন্দ । নিয়মের দ্বারাই নিয়মের সঙ্গে এবং আনন্দের দ্বারাই আনন্দের সঙ্গে আমাদের যোগ হতে পারে। এইজন্তে ষেদিকে আমি সর্বসাধারণের, যেদিকে আমি বিশ্বপ্রকৃতির, যেদিকে আমি মানবপ্রকৃতির, সেদিকে যদি আমি নিজেকে নিয়মের অনুগত না করি, তাহলে আমি কেবলই ব্যর্থ হই এবং অশাস্তির স্বষ্টি করি । একটি ধূলিকণার কাজ থেকেও আমি ভুলিয়ে কাজ আদায় করতে পারি নে—তার নিয়ম আমি মানলে তবেই সে আমার নিয়ম মানে । এইজন্তে আমাদের প্রথম শিক্ষা হচ্ছে প্রকৃতিয় নিয়ম শিক্ষা এবং নিজেকে নিয়মের অনুগত করতে শেখা। এই শিক্ষার দ্বারাই আমরা সত্যের পরিচয় লাভ করি । এই শিক্ষাটির পরিণাম যিনি, তিনিই হচ্ছেন “শাস্তম্” । যেখানেই নিয়মের ভ্রষ্টত যেখানেই নিয়মের সঙ্গে নিয়মের যোগ হয় নি সেইখানেই অশান্তি। যেখানেই পরিপূর্ণ যোগ হয়েছে সেখানেই শাস্তম্ ধিনি, তার পরিপূর্ণ উপলব্ধি। প্রকৃতির মধ্যে ঈশ্বরের কোন স্বরূপ দেখতে পাই ? তার শাস্তস্বরূপ । সেখানে, ধারা ক্ষুত্র করে দেখে তারা প্রয়াসকে দেখে, যারা বৃহৎ করে দেখে তারা শাস্তিকেই দেখতে পায়। যদি নিয়ম ছিন্ন হত, যদি নিয়ম শাশ্বত এবং যথাতণ না হত, তাহলে মুহূর্তের মধ্যে এই বিপুল বিশ্বশাস্তি ধ্বংস হয়ে একটি অর্থহীন পরিণামহীন প্রলয়ের প্রচণ্ড ब्रडा बांब्रड रुङ, ठांझ्ट्ज बिन्वणशजां८ब्र विद्रव्रांथहे छन्नैौ इब्र ठांब नषमस्र क्टिग्न जधरछ ছিন্নভিন্ন করে ফেলত। কিন্তু চেয়ে দেখো, পূর্ষেনক্ষত্ৰলোকের প্রবল উত্তেজনার মধ্যে অটল নিয়মাসনে মহাশান্তি বিরাজ করছেন। সত্যের স্বরূপই হচ্ছে শাস্তম্। সত্য শাভন বলেই শিবম্। শান্ত বলেই তিনি সকলকে ধারণ করেন, রক্ষা করেন, সকলেই তাতে এৰ আশ্রয় পেয়েছে। আমরাও যেখানে সংৰত না হয়েছি অর্থাৎ যেখানে