পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S v No রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী মৃদুহাস্যে নতনেত্ৰে দাড়াও আসিয়া নির্জন শিয়ারতলে । বেড়াক ভাসিয়া সমীরহিল্লোলে ; স্বপ্নে বাজুক বঁাশরি চন্দ্ৰলোকপ্ৰান্ত হতে ; তোমার অঞ্চল বায়ুভরে উড়ে এসে পুলকচঞ্চল করুক আমার তনু ; অধীর মর্মরে শিহরি উঠুক বন ; মাথার উপরে চকোর ডাকিয়া যাক দূরশ্রান্ত তান ; সম্মুখে পড়িয়া থাক তাঁটাস্তশিয়ান, সুপ্ত নটিনীর মতো নিস্তব্ধ তটিনী স্বপ্নপ্রণালস । হেরো আজি নিদ্রিতা মেদিনী, ঘরে ঘরে রুদ্ধ বাতায়ন । আমি একা আছি জেগে, তুমি একাকিনী দেহাে দেখা এই বিশ্বসুপ্তিমাঝে, অসীম সুন্দর, । ত্ৰিলোকনন্দনমূর্তি। আমি যে কাতর সদা উৎকণ্ঠিত, আমি চিররাত্ৰিদিন অজ্ঞাত দেবতা লাগি— বাসনার তীরে একা বসে গড়িতেছি কত যে প্ৰতিমা আপন হৃদয় ভেঙে, নাহি তার সীমা । খুলে ফেলো— আজি ছিন্ন করে ফেলো ওই চিরস্থির আচ্ছাদন অনন্ত অম্বর । মৌনশাস্ত অসীমতা নিশ্চল সাগর, তারি মাঝখান হতে উঠে এসে ধীরে তরুণী লক্ষ্মীর মতো হািদয়ের তীরে আঁখির সম্মুখে । সমস্ত প্রহরগুলি ছিন্ন পুষ্পদলসম পড়ে যাক খুলি তব চারি দিকে- বিদীর্ণ নিশীথখানি খসে যাক নীচে । বাক্ষ হতে লাহো টানি অঞ্চল তোমার, দাও অবারিত করি শুভ্ৰ ভাল, আঁখি হতে লাহো অপসারি উন্মুক্ত অলক । কোনো মর্ত দেখে নাই যে দিব্য মুরতি আমারে দেখাও তাই এ বিশ্রৱন্ধ রজনীতে নিস্তব্ধ বিরলে। উৎসুক উন্মুখ চিত্ত চরণের তলে