পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় Ե-Հ Գ ছাত্রদের প্রতি সম্ভাষণ বৈশাখ ১৩১২|| ১২ দেশীয় রাজ্য s-G S \oS SI S 3 q ব্রাতধারণ ఆ \లి SI R Rbr অবস্থা ও ব্যবস্থা আশ্বিন ১৩১২৷৷ ২৭৯ স্বদেশী সমাজ ৭। শ্রাবণ (১৩১১) তারিখে মিনার্ভ রঙ্গমঞ্চে চৈতন্য-লাইব্রেরির বিশ্লেষ অধিবেশনে প্ৰথম পঠিত হয়, পরে পবিবর্ধিত আকারে ১৬ শ্রাবণ তারিখে কার্জন রঙ্গমঞ্চে পুনঃপঠিত হয় । ছাত্রদের প্রতি সম্ভাষণ ১৭ চৈত্র (১৩১১) তারিখে ক্লাসিক রঙ্গমঞ্চে পঠিত হয় । অবস্থা ও ব্যবস্থা। ৯ ভাদ্র (১৩১২) টাউনহলে পঠিত হয় । দেশীয় রাজ্য ১৭ আষাঢ় (১৩১২) “রাজধানী আগরতলায় “ত্রিপুরা সাহিত্য-সম্মিলনী’র প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে” পঠিত হয় । “সফলতার সদুপায় প্রবন্ধের উপলক্ষ বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত উক্ত প্রবন্ধের কোনো কোনো অংশ শহরে এবং ভদ্রপল্লীতে প্ৰাথমিক শিক্ষার যেরূপ ব্যবস্থা আছে, কৃষিপল্লীগুলিতে ঠিক সেরূপ ব্যবস্থা অনুপযুক্ত বলিয়া স্থির হইয়াছে। এই-সকল স্থানের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষাপ্রণালী পরিবর্তন করিয়া পাঠ্যবিষয় সরল করিবার প্রস্তাব বিচার করিবার জন্য গবমেন্ট একটি কমিটি বসাইয়াছিলেন । পাচ জন এই কমিটির সদস্য দশম প্যারাগ্রাফে কমিটি বলিতেছেন— বাংলা নিম্ন প্রাইমারি স্কুলে প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকগুলির অধিকাংশ ন্যুনাধিক সংস্কৃতায়িত (sanscritized) ভাষায় লেখা হইয়া থাকে, তাহার মধ্যে এমন-সকল পরিভাষা থাকে যাহা পল্লীবাসীরা বোঝে না । অতএব, এই—সকল স্কুলের উপযুক্ত আদর্শপাঠ্যগ্রন্থ তৈরি করিবার জন্য কয়েকটি বিচক্ষণ কর্মচারী লইয়া একটি বিশেষ সমিতি স্থাপিত হউক । বইগুলি প্ৰথমে ইংরেজিতে লেখা হইবে, তাহার পরে সরকার মঞ্জর করিলে কমিশনার সাহেব ও স্কুল-ইনস্পেক্টরদের সঙ্গে পরামর্শ করিয়া শিক্ষাবিভাগের ডিরেক্টার বইগুলিকে স্থানীয় প্রচলিত ভাষায় (local vernaculars) তৰ্জমা করিবার জন্য লোক নির্বাচন করিবে - মনে করিয়াছিলাম, বাংলার, 'local vernacular' বাংলা, বেহারের একাদশ প্যারাগ্রাফে কমিটি বলিতেছেন – ইংরেজি আদর্শপাঠ্যপুস্তকগুলি যথেষ্টপরিমাণ স্থানীয় প্রচলিত ভাষায় তর্জমা হওয়াটাকে কমিটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যাপার বলিয়া মনে করেন । যথা, তাহদের বিবেচনায় বেহারে অন্তত তিন উপভাষায় তর্জমা হওয়া চাই- ত্ৰিহুতি, ভোজপুরি এবং মৈথিলি ; এবং বাংলাদেশে অন্ততপক্ষে উত্তর, পূর্ব, মধ্য এবং পশ্চিম ভাষায় তর্জমা হওয়া উচিত হইবে ।-- r চারিজন ইংরেজ ও তাদের অনুগত একজন বাঙালি [কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত] বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রণালীর ভিত্তিপত্তনে ভাষাবিচ্ছেদ ঘটানোটাকে ‘matter of great importance’ গুরুতর প্রয়োজনীয় ব্যাপার বলিয়া মনে করেন ।-- কমিটি বলিতেছেন, ইহাতে চাষীদের উপকার হইবে ; কিন্তু. একতলায় এমন উপকার করিতে বসা ঠিক নয়, যাহাতে কিছুদিন পরেই দোতলায় ফাটল ধরিতে আরম্ভ হয় । সেটা দোতলার পক্ষে মন্দ এবং একতলার পক্ষেও ভালো নয় । সরকার-বাহাদুর যদি ভারতবর্ষের দেশে দেশে ভাষাবিচ্ছেদ শুরু করিয়া দেন, তবে কৃষিপল্লীতে তাহার সূত্রপাত হইয়া দিনে দিনে নীচে হইতে উপর পর্যন্ত ফাটল বিস্তৃত হইতে আরম্ভ করিবে ।-- ভারতবর্ষে ভাষার বৈচিত্ৰ্য আমাদিগকে যেমন খণ্ডবিখণ্ড করিয়াছে এমনতরো গিরিমরুর ব্যবধানও করিতে পারে নাই । ইহার উপরেও যেখানে ভাষার যথার্থ বিচ্ছেদ নাই, সেখানেও যদি বিচ্ছেদ সযত্নে তৈরি করিয়া তোলা হয়- তবে—তবে কী আর বলিতে পারি, অন্তত দুই হাত