পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 রবীন্দ্র-রচনাবলী বহু বিচিত্রের কারুকলায় চিত্রিত এই আমার সমগ্র সত্তা তার সমস্ত সঞ্চয় সমস্ত পরিচয় নিয়ে কোনো যুগে কি কোনো দিব্যদৃষ্টির সম্মুখে পরিপূর্ণ অবারিত হবে ? তার সকল তপস্যায়। সে চেয়েছে গোচরতাকে ; বলেছে, যেমন বলে গোধূলির অস্ফুট তারা, বলেছে, যেমন বলে নিশাম্ভের অরুণ আভাস ‘এসো প্ৰকাশ, এসো ।” কবে প্রকাশ হবে পূর্ণ আপনি প্ৰত্যক্ষ হব। আপনার আলোতেবধু যেমন সত্য করে জানে আপনাকে, সত্য করে জানায়, -R যখন প্ৰাণে জাগে তার প্ৰেম, যখন দুঃখকে পারে সে গলার হার করতে, যখন দৈন্যকে দেয় সে মহিমা, যখন মৃত্যুতে ঘটে না তার অসমাপ্তি । ছয় দিনের প্রান্তে এসেছি গোধূলির ঘাটে । পথে পথে পাত্র ভরেছি অনেক কিছু দিয়ে। ভেবেছিলেম চিরপথের পাথেয় সেগুলি ; দাম দিয়েছি কঠিন দুঃখে । অনেক করেছি। সংগ্ৰহ মানুষের কথার হাটে, কিছু করেছি। সঞ্চয় প্রেমের সদাব্রতে । শেষে ভুলেছি। সার্থকতার কথা, অকারণে কুড়িয়ে বেড়ানোই হয়েছে অন্ধ অভ্যাসে বাধা ; ফুটাে বুলিটার শূন্য ভরাবার জন্যে वि छेिन न्नां । ফুরিয়ে এল পথ, পাথেয়ের অর্থ আর রইল না কিছুই । যে প্ৰদীপ জ্বলেছিল মিলন শয্যার পাশে সেই প্ৰদীপ এনেছিলেম হাতে করে।