পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিলিতি মৌসুমি চারায় ফুলগুলি রঙ হারিয়ে সংকুচিত । হাওয়া দিয়েছে পশ্চিম দিক থেকে বিদেশী হওয়া চৈত্রমাসের আঙিনাতে । গায়ে দিতে হল আবরণ অনিচ্ছায় । বাধানো জলকুণ্ডে জল উঠছে শিরশিরিয়ে, টলমল করছে নালগাছের পাতা, লাল মাছ কটা চঞ্চল হয়ে উঠল । নেবুঘাস বঁাকড়া হয়ে উঠেছে। খেলা-পাহাড়ের গায়ে । তার মধ্যে থেকে দেখা যায়। গেরুয়া পাথরের চতুর্মুখ মূর্তি । সে আছে প্রবহমান কালের দূর তীরে ७लानैीन ; ঋতুর স্পর্শ লাগে না তার গায়ে । শিল্পের ভাষা তার, গাছপালার বাণীর সঙ্গে কোনো মিল নেই। ধরণীর অন্তঃপুর থেকে যে শুশ্ৰুষা দিনে রাতে সঞ্চারিত হচ্ছে সমস্ত গাছের ডালে ডালে পাতায় পাতায়, ওই মূর্তি সেই বৃহৎ আত্মীয়তার বাইরে। মানুষ আপন গুঢ় বাক্য অনেক কাল আগে যক্ষের মৃত ধনের মতো ওর মধ্যে রেখেছেনিরুদ্ধ করে, প্রকৃতির বাণীর সঙ্গে তার ব্যবহার বন্ধ । (? ○