পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংযোজন অস্তরে মোর রঙের শিখা চিত্তকে দেয় আপন টকা, রঙিনকে তাই দেখি মনের মাঝে । পাখিরা রঙ ওড়ায় আকাশতলে, মাছের রঙ খেলায় গভীর জলে ; রঙ জেগেছে বনসভায় গোলাপ চাপা রঙন জবায়, মেঘেরা রঙ ফোটায় পলে পলে। নীরব ডাকে রঙমহলের রাজা হুকুম করেন, রঙের আসর সাজা।’— অমনি ফাগুন কোথা হতে ভেসে আসে হাওয়ার স্রোতে, পুরানোকে রাঙিয়ে করে তাজা । তাদের আসর বাহির-ভুবনেতে, ফেরে সেথায় রঙের নেশায় মেতে । আমার এ রঙ গোপন প্রাণে, আমার এ রঙ গভীর গানে, রঙের আসন ধেয়ানে দিই পেতে । ২৬ ভাদ্র ১৩৩৫ আশীৰ্বাদী কল্যাণীয় ঐযুক্ত যতীন্দ্রমোহন বাগচীর সংবর্ধন উপলক্ষে আমরা তো আজ পুরাতনের কোঠায়, নবীন বটে ছিলেম কোনো কালে । বসন্তে আজ কত নূতন বোটায় ধরল কুঁড়ি বাণীবনের ডালে।