পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের কবিতা তোমার মানস-ভোজে সযত্বে সাজালে যে ভােবরসের পাত্র বাণীর তৃষায়, তার সাথে দিব না মিশায়ে যা মোর ধূলির ধন, যা মোর চক্ষের জলে ভিজে । আজো তুমি নিজে হয়তো-বা করিবে রচন মোর স্মৃতিটুকু দিয়ে স্বপ্নবিষ্ট তোমার বচন । ভার তার না রহিবে, না রহিবে দায় । হে বন্ধু, বিদায়। - মোর লাগি করিয়ো না শোক, আমার রয়েছে কর্ম, আমার রয়েছে বিশ্বলোক । মোর পাত্র রিক্ত হয় নাইশূন্যেরে করিব পূর্ণ, এই ব্ৰত বহিব সদাই । উৎকণ্ঠ আমার লাগি কেহ যদি প্ৰতীক্ষিয় থাকে সেই ধন্য করবে। আমাকে । শুক্লপক্ষ হতে আনি রজনীগন্ধার বৃন্তখানি যে পারে সাজাতে অর্ঘ্যথালা কৃষ্ণপক্ষ রাতে, যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি, এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি। তোমারে যা দিয়েছিনু তার পেয়েছ নিঃশেষ অধিকার । হেথা মোর তিলে তিলে দান, করুণ মুহুর্তগুলি গণ্ডুষ ভরিয়া করে পান হৃদয়-অঞ্জলি হতে মম | ওগো তুমি নিরুপম, হে ঐশ্বৰ্যবান, তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান গ্ৰহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ। আমায় । হে বন্ধু, বিদায় । বন্যা ব্যােলাবৃয়ি, বাঙ্গালোর ২৫ জুন ১৯২৮ GłRGł