পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবদত্ত | বিক্রমদেব । দেবদত্ত । বিক্রমদেব । দেবদত্ত । বিক্রমদেব । দেবদত্ত । विक्रगटलर ! রাজা ও রানী সহিতে প্রস্তুত আছি –সহে না কেবল কুলপুরোহিত-আস্ফালন। জান সখা, দীপ্ত সুর্য সহ্য হয় তপ্ত বালি চেয়ে । দূর করে মিছে তর্ক যত। এস করি কাব্য-আলোচনা । কাল বলেছিলে তুমি পুরাতন কবি-বাক্য —“নাহিকো বিশ্বাস রমণীরে”—আর বারবলে শুনি । “শাস্ত্রং—* রক্ষা করো—ছেড়ে দাও অনুস্বরগুলো । অমুস্বর ধমু:শর নহে, মহারাজ, কেবল টংকারমাত্র। হে বীরপুরুষ, ভয় নাই। ভালো, আমি ভাষায় বলিব । *যত চিন্তা কর শাস্ত্র, চিস্তা আরো বাড়ে, যত পূজা কর ভূপে, ভয় নাহি ছাড়ে। কোলে থাকিলেও নারী রেখো সাবধানে, শাস্ত্র, নৃপ, নারী কভু বশ নাহি মানে।” বশ নাহি মানে ! ধিক স্পর্ধ কবি তব ! চাহে কে করিতে বশ ? বিদ্রোহী সে জন । বশ করিবার নহে নৃপতি, রমণী । তা বটে। পুরুষ রবে রমণীর বশে । রমণীর হৃদয়ের রহস্ত কে জানে ? বিধির বিধান সম অজ্ঞেয় –তা বলে অবিশ্বাস জন্মে যদি বিধির বিধানে, রমণীর প্রেমে—আশ্রয় কোথায় পাবে ? নদী ধায়, বায়ু বহে কেমনে কে জানে। সেই নদী দেশের কল্যাণ-প্রবাহিণী, সেই বায়ু জীবের জীবন। বন্ত আনে সেই নদী ; সেই বায়ু ঝঞ্জা নিয়ে আসে। প্রাণ দেয়, মৃত্যু দেয়, লই শিরে তুলি ; ২৬৩