পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী باره প্রথম সর্থী। কাদবার সময় ঢের আছে বোন। এই দুটাে দিন একটু হেসে আমোদ করে নে। ফুল যদি না শুকোত তাহলে আমি আজ থেকেই মালা গাঁথতে বসতুম | দ্বিতীয় সখী । আমি বাসরঘর সাজাব । প্রথম সর্থী। আমি সখীকে সাজিয়ে দেব। তৃতীয় সখী । আর আমি কী করব ? l, প্রথম সখী । ওলো, তুই আপনি সাজিস । দেখিস যদি যুবরাজের মন ভোলাতে পারিস । তৃতীয় সখী । তুই তো ভাই চেষ্টা করতে ছাড়িস নি। তা তুই যখন পারলি নে তখন কি আর আমি পারব। ওলো, আমাদের সর্থীকে যে একবার দেখেছে তার মন কি আর অমনি পথেঘাটে চুরি যায়। ওই বাশি এসেছে। ওই শোন বেজে উঠেছে। প্রথম সখীর গান ঐ বুঝি বাশি বাজে । বনমাঝে, কি মনমাঝে ? বসন্ত-বায় বহিছে কোথায়, কোথায় ফুটেছে ফুল ! বল গো সজনী, এ স্থখরজনী কোনখানে উদিয়াছে, বনমাঝে, কি মনমাঝে ? যাব কি যাব না মিছে এ ভাবনা মিছে মরি লোকলাজে । কে জানে কোথা সে বিরহ-হুতাশে ফিরে অভিসার-সাজে, বনমাঝে, কি মনমাঝে ? দ্বিতীয় সখী । ওলো থাম— ওই দেখ, যুবরাজ কুমারসেন এসেছেন। তৃতীয় সখী । চল চল ভাই, আমরা একটু আড়ালে দাড়াই গে । তোরা পারিস, কিন্তু কে জানে ভাই, যুবরাজের সামনে যেতে আমার কেমন করে। d দ্বিতীয় সখী । কিন্তু কুমার আজ হঠাৎ অসময়ে এলেন কেন । প্রথম সখী । ওলো এর কি আর সময়-অসময় আছে । রাজার ছেলে বলে কি পঞ্চশর ওকে ছেড়ে কথা কয় । থাকতে পারবে কেন । তৃতীয় সখী । চল ভাই আড়ালে চল । [ অন্তরালে গমন