পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবান্দ্র-রচনাবল। " هسبانيا প্রতাপ । ই । . মী। হাকে নিহত করবে। প্রতাপাদিত্য কষ্ট হষ্টয়া কহিলেন, “মন্ত্রী, হঠাৎ তুমি শিশু হইয়াছ নাকি ? একটা কথা শুনিতে দশটা প্রশ্ন করিতে হয় কেন ? কথাটা মুখে আনিতে বুঝি সংকোচ হইতেছে! এখন বোধ করি তোমার রাজকার্ধে মনোযোগ দিবার বয়স গিয়াছে, এখন পরকাল চিস্তার সময় আসিয়াছে। এতদিন অবসর প্রার্থন কর নাই কেন ?" মন্ত্রী। মহারাজ আমার ভাবট। ভালে বুঝিতে পারেন নাই । প্রতাপ । বিলক্ষণ বুঝিতে পারিয়াছি। কিন্তু একটা কথা তোমাকে জিজ্ঞাসা করি, আমি যে কাজটা করিতে পারি, তুমি তাহ মুখে আনিতেও পার না ? তোমার বিবেচনা করা উচিত ছিল, আমি যখন এ কাজটা করিতে যাইতেছি, তখন অবশু তাহার গুরুতর কারণ আছে ; আমি অবশু ধর্ম অধৰ্ম সমস্ত ভাবিয়াছিলাম। মন্ত্রী। আজ মহারাজ, আমি— ! k প্রতাপ। চুপ করে, আমার সমস্ত কথাটা শোনো আগে। আমি যখন এ কাজটা * —আমি যখন নিজের পিতৃব্যকে খুন করিতে উদ্যত হইয়াছি, তখন অবশু তোমার চেয়ে ঢের বেশি ভাবিয়াছি । এ কাজে অধৰ্ম নাই । আমার ব্রত এই—এই যে স্নেচ্ছের আমাদের দেশে আসিয়া অনাচার আরম্ভ করিয়াছে, যাহাঁদের অত্যাচারে আমাদের দেশ হইতে সনাতন আর্ধধর্ম লোপ পাইবার উপক্রম হইয়াছে, ক্ষত্রিয়ের মোগলকে কন্যা দিতেছে, হিন্দুর আচারভ্রষ্ট হইতেছে, এই মেচ্ছদের আমি দুর করিয়া দিব, আমাদের আধধর্মকে রাহুর গ্রাস হইতে মুক্ত করিব। এই ব্ৰত সাধন করিতে অনেক বলের আবশ্যক। আমি চাই, সমস্ত বঙ্গদেশের রাজার। আমার অধীনে এক হয় ; যাহারা যবনের মিত্র, তাহদের বিনাশ না করিলে ইহা সিদ্ধ হুইবে না। পিতৃব্য বসস্ত রায় আমার পূজ্যপাদ, কিন্তু যথার্থ কথা বলিতে পাপ নাই, তিনি আমাদের বংশের কলঙ্ক । তিনি আপনাকে স্নেচ্ছের দাস বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন, এমন লোকের সহিত প্রতাপাদিত্য রায়ের কোনো সম্পর্ক নাই । ক্ষত হুইলে নিজের বাহুকে কাটিয়া ফেলা যায় ; আমার ইচ্ছা যায় বংশের ক্ষত, বঙ্গদেশের ক্ষত ওই বসন্ত রায়কে কাটিয়া ফেলিয়া রায়-বংশকে বঁচিাই, বঙ্গদেশকে वैisाहे । মন্ত্রী কছিলেন, “এ-বিষয়ে মহারাজের সহিত আমার অন্ত মত ছিল না।” প্রতাপাদিত্য কহিলেন, “ই ছিল। ঠিক কথা বলে । এখনও আছে । দেখো মন্ত্রী, যতক্ষণ আমার মতের সহিত তোমার মত না মিলিবে, ততক্ষণ তাহ প্রকাশ