পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳSV9 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী রবীন্দ্রনাথ কোনো সময়ে প্রবন্ধটিকে গ্রন্থভুক্ত করার কথা চিন্তা করিয়াছিলেন। এই প্ৰবন্ধটিও পূর্বোল্লিখিত সাবিত্রী’ (১২৯৩) গ্রন্থে মুদ্রিত হয়। এখানেও পত্রিকার পাঠটিই গ্ৰহণ করা হইয়াছে। ১৬-১৭. একটি পুরাতন কথা’ প্ৰবন্ধটির বিতর্কমূলক অংশগুলি বাদ দিয়া সমালােচনা' Sbr. Sề. (১২৯৪) গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হইয়াছিল, এখানে পত্রিকার পাঠটি মুদ্রিত হইল। শ্রাবণ ১২৯১-তে অক্ষয়চন্দ্র সরকারের সম্পাদনায় নবজীবন’ ও বঙ্কিমচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘প্রচার” মাসিকপত্র প্রকাশিত হইলে বঙ্কিমচন্দ্র উভয় পত্রিকাতেই তাহার নব্য হিন্দুধর্ম ব্যাখ্যা করিতে শুরু করেন। ব্রাহ্মসমাজভূক্ত ও অন্যান্য কয়েকটি পত্রিকায় তাহার বক্তব্যের বিরোধিতা করা হয়। ফলে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়, রবীন্দ্রনাথও তাহাতে জড়িত হইয়া পড়েন। সঞ্জীবনী’ পত্রিকায় কয়েকটি চিঠি-চাপটির পরে তিনি বঙ্কিমচন্দ্রের একটি বক্তব্যের বিরোধিতা করিয়া ‘একটি পুরাতন কথা’ প্ৰবন্ধটি লিখিয়া কীর্তিক ১২৯১-এর কোনো এক তারিখে আদি ব্ৰাহ্মসমাজ লাইব্রেরি হলে পাঠ করেন ও সেটি অগ্রহায়ণ-সংখ্যা ভারতী-তে মুদ্রিত হয়। এই সব সমালোচনার উত্তরে বঙ্কিমচন্দ্র প্রচার-এর অগ্রহায়ণ-সংখ্যায় আদি ব্ৰাহ্ম সমাজ ও “নব হিন্দু সম্প্রদায়” – শীর্ষক একটি প্ৰবন্ধ লিখিয়া রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য সম্পর্কে কটাক্ষা করিয়া লেখেন, “আমার বিরুদ্ধে কেহ কখন কোন কথা লিখিলে বা বক্তৃতায় বলিলে এ পর্যন্ত কোন উত্তর করি নাই। ...তবে যে এ কয় পাতা লিখিলাম, তাহার কারণ, এই রবির পিছনে একটা বড় ছায়া দেখিতেছি।” রবীন্দ্ৰনাথ ইহারই উত্তরে ‘কৈফিয়ত’ প্ৰবন্ধটি রচনা করেন। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ এই সময়ে আদি ব্রাহ্মসমাজের সম্পাদক। সম্পূর্ণ রচনাটি ইতিপূর্বে বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ-প্রকাশিত “বঙ্কিমচন্দ্র” (১৩৮৪) গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে। তৎপূর্বে । পুলিনবিহারী সেন -কর্তৃক সংকলিত ‘রবীন্দ্রগ্রন্থপঞ্জী' প্রথম খণ্ডে (১৩৮০ বঙ্গাব্দ) ‘সমালোচনা” গ্রন্থের বিশদ বিবরণ প্রসঙ্গে ‘একটি পুরাতন কথা’ ও ‘কৈফিয়ৎ'- রচনাদুইটির প্রাসঙ্গিক অংশ মুদ্রিত। '[দুৰ্ভিক্ষ]।” প্ৰবন্ধটি দুস্তপ্রাপ্য তত্ত্বকীেমুদী (১ জ্যৈষ্ঠ ১৮০৭ শক) হইতে উদ্ধার করিয়া প্রশান্তকুমার পাল ‘রবিজীবনী' দ্বিতীয় খণ্ডে প্রকাশ করিয়াছেন, শিরোনামহীন রচনাটি ওই গ্রন্থ হইতে গৃহীত হইয়াছে। পর পর দুই বৎসর অনাবৃষ্টির ফলে ১২৯১ বঙ্গাব্দের শেষ দিকে বাঁকুড়া, বীরভূম ও বর্ধমান জেলার কিয়দংশ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়। এই কারণে ৩১ চৈত্র আদি ব্রাহ্মসমাজগৃহে বৰ্ষশেষ উপাসনার দিনে, “তত্ত্বকৌমুদীতে লেখা হইয়াছে, "বীরভূম অঞ্চলে দুৰ্ভিক্ষপীড়িত লোকদিগের সাহায্যাৰ্থ দান সংগ্রহের জন্য একটি সভার আয়োজন করা হয়। এই উপলক্ষে রবীন্দ্ৰনাথ “আজি কঁদে করা ওই শুনা যায়” গানটি রচনা করেন ও "দুর্ভিক্ষের সাহায্যপ্রার্থী হইয়া ... একটী সুন্দর প্রবন্ধ পাঠ করেন। বালক-পাঠ্য বালক” পত্রিকার সম্পাদিক জ্ঞানদােনন্দিনী দেবী বৈশাখ ১২৯২ সংখ্যায় ১২টি চিত্র সহযোগে ‘ব্যায়াম’ নামক প্রবন্ধে ফিলাডেলফিয়ার একটি স্কুলে একজন আমেরিকানের লাঠি লইয়া ব্যায়ামের অভিজ্ঞতা ও উপযোগিতা বর্ণনা করিয়াছিলেন। বর্তমান লাঠির উপর লাঠি” রচনায় রবীন্দ্রনাথ বিশম্বদ শ্ৰীঃ-" স্বাক্ষরে (বার্ষিক সূচীতে তাহার নাম আছে) লঘু ভঙ্গিতে উক্ত প্ৰবন্ধ সম্পর্কে একটি বিতর্কের অবতারণা করেন। এই সংখ্যাতেই সম্পাদকের নিবেদন'-এ সম্পাদিক তাহার যে উত্তর দেন, আমরা তাহা