বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা こ & পরিতেছেন,—রাজপথের কাঙ্গালিনীও তাহার পর্ণ কুটীরে বসিয়া, মুখেরই কামনায় তৃণগুচ্ছে কুটীর সাজাইতেছে। সুখ পিপাসার দুর্ণিবার জালায় সখের ইয়ার’ ‘ঢাল ঢলি আরও ঢাল বলিয়া দ্রববহ্নির দিকে দৃষ্টিপাত করিতেছে, এবং যেন সমস্ত পৃথিবীর সর্ববিধ রূপ রস ও বিলাস বস্তুকে একই শ্বাসে ও একই গ্রাসে উদরস্থ করিয়া, আপন চম্পর বাসনার পরিতৃপ্তির জন্ত, পাগলের মত লালায়িত হইতেছে। আর সৰ্ব্বজনহিতৈষী ঋষি সুখ-তৃপ্তিরই অজ্ঞাত অনুশাসনে, দীন-দুঃখীর দুঃখ-মোচন-চিন্তায় ডুবিয়া রহিতেছেন, অথবা আপনার ভোজ্য অন্নের একভাগ অন্ত:ক দিয়া দুইয়ে মিলিয়া প্রীতি ও কৃতজ্ঞতার রস স্বাদে সংসারের সকল ভাবনা ভুলিয়া যাইতেছেন। শিষ্য। যদিও জীবনের স্বাভাবিক স্ফুরণে জীবমাত্রেই সুখের ভিখারী, তথাপি ইহা স্পষ্টতই পরিলক্ষিত হইতেছে যে, সুখের প্রকৃতি ও পরিণতি এক প্রকার নহে। স্থৰ্য্যের উত্তাপ ও সলিলের সুখ-স্পর্শ যেমন তরু-লতাকে বদ্ধিত করিয়া থাকে, সেইরূপ কোন প্রকার মুখ, আত্মায় কেমন এক শক্তি সঞ্চারণ করিয়া, জীবকে বদ্ধিত করিয়া তুলে। পক্ষান্তরে, কোন প্রকারের মুখ স্বভাবতই মনুষকে মনুষ্যত্বের পর্যায়ে প্রতিনিয়ত কিছু কিছু করিয়া বসায়। কোন মুখ, মুবাসিত উদ্ধান সমীরণ অথবা সুস্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার ন্যায়, প্রাণে শীতল अश्ड़्ड হয়, এবং উহার স্মৃতিও চিরকাল মনুষ্ণুকে শান্তি} [ 0 }