বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রসমঞ্জরী - ভারতচন্দ্র রায় (১৮৫৩).pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রসমঞ্জরী।
২১

 অনল চন্দন চুয়া, গরল তাম্বুল গুয়া, কোকিল বিকল করে অতি। বিধবার মত বেশ, অস্থি চর্ম্ম অবশেষ, তাপে কাম পোড়ায় বসতি॥ মনোজ তনুজ মত, কোদণ্ড করিয়া হত, হাতে লয় পিণ্ডের পদ্ধতি। সখী মুখে মান শুনি, পতি এলো হেন গণি, দেখিতে শ্বাসের গতাগতি॥

অথ প্রোষ্যৎ ভর্তৃকা।

 যার কাছে আসে পতি প্রবাস গমন। প্রোষিত ভর্তৃকা মধ্যে তাহারো গণন॥ এ আট লক্ষণে তার না মিলে লক্ষণ। নবমী নায়িকা হতে পারে কেহ কন॥ কিন্তু অষ্ট নায়িকা সকল গ্রন্থে কয়। নবমী কহিতে গেলে গণ্ডগোল হয়॥ অত এব দ্বিধা বলি প্রোষিত ভর্তৃকা। প্রোষিত ভর্তৃকা আর প্রোষ্যৎ পতিকা॥

 শুন২ ওরে প্রাণ, পতি পরবাসে যান, তুমি করিবে এবে সত্য করে কহিবে। এবে জানিলাম দড়, তোমা হৈতে পতি বড়, নহে কেন আগে যান তুমি পাছে রহিবে॥ যদি বড়হতে চাও, তবে আগে আগে যাও, নহে তুমি লঘু হবে আমার কি বহিবে। এবে সুখ দেয় যারা, পিছে দুঃখ দিবে তারা, কয়্যা অবসর আমি কত জ্বালা সহিবে॥

 ইত্যাদি কহিয়া দিনু নায়িকা যতেক। পতির গমন কালে সবার প্রত্যেক॥ পুথি বাড়ে সকলের করিতে কবিতা। অনুভবে বুঝ্যা লবে লক্ষণ মিলিতা॥