বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (চতুর্থ পর্ব্ব).pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ নূতন গ্রন্থের সমালোচন । [রহস্য-সন্দর্ভ। লোলুপ অল্পমতিদিগের দুরাশা চরিতার্থ কর৭ার্থে ইহা সহ্য করিতে হয়। আক্ষেপের বিষয় এই যে সমালোচনের নিমিত্ত ইহাও আমাদিগকে ক্রয় করিতে হইয়াছে । এই মত কত শত তরণী মজিল, উলটিয়া কতগুলা ভালিয়া চলিল । পোতসহ কত লোক হইল মগন, পারে কি বাচিতে কেহ করি সন্তরণ ; “ ৰেল সহ বায়ুৰেগ বাড়িতে লাগিল, উত্তাল তরঙ্গমালা তটিনী ছাইল ; পারাপার হওয়া ভার, নাবিক নিচয়, বান্ধিল তরণী তীরে সভয় হৃদয় ; বহুদশী বিবেচক যতেক কাপ্তান, আসন্ন বিপদ জানি, পারাবার জান ; রক্ষিবারে, বহুবিধ করিল কৌশল; আদেশ পালনে ব্যস্ত নাবিক সকল । কেহ টানে কপি কেহ কাটে রসারসি, কেহ দেয় দেখাইয়া অন্তরেতে বসি ; জোর করি ধরাধরি করি কত জন, প্রকাণ্ড নোঙ্গর নীরে করয়ে ক্ষেপণ । গেল গেল আৰ্ত্তনাদ চারি দিকে হয়, আকুল নাৰিককুল সভয় হৃদয় ; দেখিতে দেখিতে এ কি, যতেক কৌশল, প্রবল পবন বলে হইল বিফল ! দুস্কারিয়া, মহা বেগে বহিল শ্বসন, ভেসে গেল নৌকা যত ছিড়িয়া ৰন্ধন ; ইহার উপরে ইহা হইয়া পতন, উভয়েই চুরমার হইল মগন। সে ঘোর বিপদে, আহা ! বলিষ্ঠ যাহারা, তবু বাচিবারে চেষ্টা করিল তাহারা ; কিন্তু তাহাদের মাত্র বাড়িল যাতনা, কন্তু ডুবে কভু ভালে উৰ্ম্মির খেলনা । পোতাঘাতে পুনঃ পুনঃ হইয়া অভ্যাহত, অরুন্তুদ যাতনায় শেষে হল হত । ভালিতে গাগিল জলে করাল আকার । কার বা নাসিক নাই, মস্তক কাহার, বহির্গত হইয়াছে কাহার নয়ন, কাহার বা নাড়ি ভূড়ি ভীম দরশন। উলটিয়া গেল নয়। শৃঙ্খল ছিড়িল, প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড কাণ্ড ভাঙ্গিয়া পড়িল ; নানা দ্রব্য পরিপূর্ণ পারাবার-যান, ছুটিতে লাগিল তুর্ণ, তারের সমান ; কর্ণহীন কোন থানে ঘুরিতে লগিল, কি করে কাণ্ডারী তার আকুল হইল, অবশেষে ৰাত্যাবশে উলটি পড়িল । সকল সামগ্রী তায় সলিলে ভুৰিল।”