পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (চতুর্থ পর্ব্ব).pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లలి তথাপি স্পষ্ট প্রমাণিত আছে যে যৎকালে কর্ণাট দেশে চোল-বগীয় ভূপালের আধিপত্য করিতেন সেই সময়ে দ্রাবিড় দেশে তিনটা প্রধান রাজত্ব ছিল ; তদ্যথা, চোল রাজত্ব, পাণ্ডীয় রাজত্ব, এব• চোর রাজত্ব । চোল রাজ্যের প্রধান রাজপাট কুম্ভকোনম নামে পরিজ্ঞাত ছিল । পাণ্ডীয় রাজ্যের প্রধান রাজপাট তাঞ্জোর ; এবং উক্ত রাজ্য দক্ষিণ-মথুরা নামে পরিজ্ঞাত ছিল । তাহার সংস্কৃত নাম “ মদ্র দেশ”। মলবার প্রদেশস্থ কেরল রাজ্যে শেষোক্ত চোর বশীয় রাজাদিগের আধিপত্য ছিল। তাহার প্রধান রাজপাটদ্বয় গাঞ্জাম ও সালেম নামে প্রসিদ্ধ ; তাঞ্জোর রাজ্যের श्रृंजल्ला “डाभूज” नाप्न जेङ रुद्ध । डाशप्रज्ञ ভাষা তামুল ভাষা বলিয়া প্রসিদ্ধ; তৈলঙ্গের দক্ষিণহইতে কুমারিক অন্তরীপ পর্য্যন্ত তাহা প্রচলিত আছে। উত্তর কর্ণাটস্থ লোকেরা তামুল শব্দের পরিবর্তে “ আরবী ” ও “ তেগুলার ” ভাষা বলিয়া থাকে ; এবং তামুল ব্রাহ্মণের দ্রাবিড় ব্রাহ্মণ বলিয়া অভিহিত হইয়া থাকে । পূৰ্বেই উক্ত হইয়াছে, আওরঙ্গজেবের আধিপত্য সময়ে তাঞ্জোরের হিন্দু নৃপতিবর্গ মহারাষ্ট্রীয়-প্রভুত্ব-সংস্থাপক শিবজীর খুল্লতাত একোজী-কর্তৃক রাজ্যচু্যত হন । র্তাহার পরলোক প্রাপ্তির পর ত্বদীয় পুএ সিংহাসনে আরোহণ করেন। পরন্তু যংকালে ভারতবর্ষস্থ ইংরাজ ও ফরাশিদিগের মধ্যে দক্ষিণ দেশে সৰ্বাদে যুদ্ধ উপস্থিত হইয়াছিল, তৎকালে তাঞ্জোরের ক্ষমতা একোজীর উপদারাগর্ভ-সস্তুত প্রতাপ সিংহের করে আবদ্ধ ছিল। উক্ত ভূপাল স্বীয় ভ্রাত শাহজীর রাজত্ব অপহরণ-পূর্বক স্বয় তাহার व्यथिकांब्ली श्झांझिाजन ! यांश् छ्छेक, मक्रि१ দেশে তৎকালে কর্ণাট রাজ্য বিশেষ প্রতাপশালী হইলেও তাহা তাঞ্জোরের রাজ্যতন্ত্র তাঞ্জোর রাজ্য । [রহস্য-সন্দর্ভ । এক তন্ত্রভূক্ত করিতে সক্ষম হয় নাই । সময়ে সময়ে কর্ণাটের নবাব-কর্তৃক উত্তাড়িত হইলে তাঞ্জোরের মহীপাল করপ্রদানে প্রণোদিত হইয়াছিলেন মাত্র ; কিন্তু তাছাও চিরন্তনের নিমিত্ত হয় নাই । ১৭৩২ ইংরাজী অব্দে কর্ণাটের উপরোক্ত নবাব আলিউদ্দীন খাঁ ফরাণীদিগের সহিত সঞ্জামে প্ররন্ত হইবায় তাহার রাজকীয় ক্ষমতার হ্রাসত হইয়াছিল ; তন্নিমিত্ত তিনি তাঞ্জোরের রাজার নিকট অধিক বক্রী রাজস্ব প্রাপ্তির দাবি করেন ; এব• তাহা না দিলে তাহার প্রভাব থৱ করণার্থ ইংরাজদিগের সৈন্য সাহায্য গ্রহণপূর্বক তদ্বিৰুদ্ধে যুদ্ধ করিতে সঙ্কল্পিত হইয়াছিলেন। পরন্তু ইরাজেরা তাহাতে সন্মত না হইয়া মধ্যস্থতাদ্বারা বিবাদ-নিম্পত্তি-বিষয়ে মনঃস°যোগ করিলেন । পরিশেষে মান্দ্রাজ গবর্ণমেণ্টের বিহিত প্রযত্নানুসারে ধার্য্য হইল যে তাঞ্জোরের রাজা কর্ণাটের নবাবকে বক্রী টাকার মধ্যে দ্বাবি°শতি লক্ষ টাকা কর দিবেন, এব° সন্ধি নিম্পত্তির সময়াবধি বার্ষিক চারি লক্ষ টাকা নিয়মিত ৰূপে প্রদান করিবেন। উহা কর-স্বৰূপে গৃহীত হইবে। এই সন্ধির কিয়ং কাল পরে প্রতাপ সিংহের মৃত্যু হয়, ও র্তাহার পুএ তুলজাজী তদীয় সিংহাসনে অধিৰূঢ় হন । ১৭৭১ ইংরাজী অব্দে উক্ত ভূপাল কর্ণাটের অন্তর্গত রামনাদের এক স্বাধীন পল্লিগার ভূপালের বিৰুদ্ধে যুদ্ধে প্রস্তুত হইয়াছিলেন। যুদ্ধের মুখ্য তাৎপর্য্য এই যে ১৭২০ ইংরাজী অব্দে তাহার অধীনস্থ কয়েকটা জনপদ বলপূর্বক গ্রহণ করা হইয়াছিল, তাহার সমুদ্বারার্থ প্রয়োজনীয় হইয়াছিল। তন্নিমিত্ত তিনি ই-রাজদিগের মধ্যস্থত অগ্রাহ করেন। তাহাতে ইরাজেরা নবাবের পক্ষাবলম্বন-পূর্বক উাহার বিৰুদ্ধে যুদ্ধার্থে ব্রিটিশ সৈন্য প্রচোদিত করেন।