বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

swara প্ৰথম অনুষ্ঠান আমার জ্যেষ্ঠা কন্যার বিবাহ ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম মতে দেওয়া। এই বিবাহ মহা জাকজমকের সহিত দেওয়া হইয়াছিল। তখন ব্ৰাহ্মসমাজে দলাদলি আরম্ভ হয় নাই। ঐ বিবাহ উপলক্ষে দেবেন্দ্র বাবু ও কেশব বাবু উভয়েই মেদিনীপুর গিয়াছিলেন। কলিকাতার অনেক ব্ৰাহ্ম এই উপলক্ষ্যে মেদিনীপুর গিয়াছিলেন। বিবাহসভা কলিকাতার ব্ৰাহ্ম ও মেদিনীপুরের ব্রাহ্ম এবং মেদিনীপুরস্থ প্রচলিত হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বী লইয়া হয়। সভাটী মহতী হইয়াছিল। তখন হারমোনিয়ম বাদ্যযন্ত্র ব্ৰাহ্মসমাজে ব্যবহৃত হইতে আরম্ভ হইয়াছে। উক্ত বাদ্যযন্ত্র কলিকাতা হইতে আনাইয়া সঙ্গীত সময়ে বিবাহ সভায় বাজান হইয়াছিল। এই বিবাহে কেশব বাবু প্ৰধান আচাৰ্য্য এবং বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও মেদিনীপুরের পরমোৎসাহী ব্ৰাহ্ম মেদিনীপুর জিলা স্কুলের হেড পণ্ডিত ভোলানাথ চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় আচাৰ্য্যের কৰ্ম্ম এবং অযোধ্যানাথ পাকড়াশী পুরোহিতের কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। বিবাহ কাৰ্য্য এত জাকজমকের সহিত সম্পন্ন হয়। যে দেবেন্দ্র বাবু পরে বলিয়াছিলেন যে রাজা রাজড়ার বিবাহে এমন হয় না। অযোধ্যানাথ পাকড়াশী আদি ব্ৰাহ্মসমাজের আচাৰ্য্য ছিলেন। ইহার ৰক্ত তাশক্তি ও অন্যান্য বিষয়ে ক্ষমতা অসাধারণ ছিল। ইহার বক্ততাশক্তি এমন ছিল যে ইহার নাম আমি Massillon of Bengali রাখিয়াছিলাম। ইনি এতদিন জীবিত থাকিলে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অনেক উপকার সাধিত হইত। আমার জ্যেষ্ঠা কন্যার স্বামী শ্ৰীমান কৃষ্ণধন ঘোষকে আমার ধৰ্ম্মতত্ত্বদীপিকা উৎসর্গ করি। মেদিনীপুরে অবস্থিতিকালে, আমি ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের মধ্যে নূতন প্রথা প্ৰবৰ্ত্তিত করি। সে প্রথা, নৈসৰ্গিক শোভায় শোভিত সুরম্যস্থানে কখন কখন উপাসনা। বসন্তকালে মেদিনীপুরের গো-গিরিতে আমাদিগের বসন্তোৎসব হইত। এই উপলক্ষে বৎসর বৎসর আমি যে সকল বক্ততা করিয়াছিলাম তাহা “বসন্ত-কুজন