পাতা:রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V) ब्रांडनांब्रांश दश्लू अांडू-ब्रिड । তাহার খ্যাতি ছিল। শাস্ত্রের অনেক শ্লোক তাহার কণ্ঠস্থ ছিল। তিনি গ্রামের একজন প্ৰধান লোক বলিয়া গণ্য ছিলেন। আমাদিগের বাটীতে দুই বেলা গ্রামের লোকের বিলক্ষণ জনতা হইত। অনেক তামাক পুড়িত্ব। গ্রামের লোক তখন দুই দলে বিভক্ত ছিল। একটি দলের নাম বাজারিয়া দল, আর একটি দল ব্ৰহ্মজ্ঞানীর দল। আমার খুড়া মহাশয় ব্ৰহ্মজ্ঞানীর দলের কর্তা ছিলেন। আমার খুড়া মহাশয় নবযৌবনকালে রামমোহন রায়ের একজন অনুবত্তী ছিলেন, এই জন্য র্তাহার দল ব্ৰহ্মজ্ঞানীর দল এই নাম লাভ করিয়াছিল। তাহার নবযৌবনকালে তিনি একদিন বাটীর সন্মুখস্থিত ধোবা পুষ্করিণীর ধারে বসিয়া রামমোহন রায়ের গ্ৰন্থপাঠ করিতেছিলেন। এমন সময়ে গ্রামের রামধন তর্কবাগীশ সেই স্থান দিয়া যাইতেছিলেন। খুড়া মহাশয় কি গ্ৰন্থ পাঠ করিতেছিলেন, তাহা জানিতে পারিয়া তাহা তাহার হাত হইতে কাড়িয়া লইয়া ধোবা পুষ্ক- | রিণীর জলে নিক্ষেপ করিলেন। খুড়া মহাশয় দলাদলি করিতেন বটে, কিন্তু আপনার অনুচরদিগকে লইয়া শাস্ত্রালোচনা করিতেন। বাজারিয়া দলের লোকের গ্রামের ঠনঠনিয়া বাজারে বসিয়া কেবল গাজা খাইত ও বাজারের লোকদিগের নিকট বলপূর্বক তোলা তুলিত। খুড়া মহাশয় একবার তাহাদিগের অত্যাচারের বিষয়ে শ্ৰীরামপুরের মার্শম্যান সাহেবের প্ৰকাশিত “সমাচার দর্পণ” নামক সম্বাদপত্রে এক পত্র ছাপাইয়া দেন। তাহাতে দারোগ আসিয়া ঠনঠনিয়া বাজারে বসিয়া উক্ত বিষয়ে সুরো\ থাল করে। আমার পিতাঠাকুর কলিকাতায় চাকরী করতেন, আর "ज्ञ মহাশয় বাটী থাকিয়া গৃহকাৰ্য দেখিতেন। খুড়া মহাশয় আমাকে মৃত্যন্ত ভালবাসিতেন। বাটীতে রোপিত বােম্বাই আমের গাছে প্রথম ফল যখন ফলিল, তখন আমাকে খাইতে দিয়া বলিলেন যে, অন্ত আমার গাছ পোতা সার্থক হইল। বিধবা বিবাহ প্ৰথা আমার পরিবার মধ্যে