বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৈশব ও তাৎকালিক শিক্ষা । 89 আমাকে পরিমিতপায়ী করিবার জন্য যে কৌশল অবলম্বন করিলেন তাহা ৰণিত হইতেছে। সে কালে মুন্সী আমীর আলী সদর দেওয়ানী আদালতের একজন প্ৰধান উকীল ছিলেন। এই মুন্সী আমীর আলী পরে সিপাহী বিদ্রোহের সময় পাটনার বিদ্রোহের সময় গবৰ্ণমেণ্টের উপকার করাতে নবাব উপাধি প্রাপ্ত হয়েন। এক্ষণকার (১৮৯০ ) হুগলীর ইমাম বাড়ার মতওয়াল্লি সাহেব তঁহার পুত্র। যে বাটীতে সদর দেওয়ানী আদালতের কাৰ্য্য হইত, সেই বাটীতে খাস কমিশনের (Special Commision ) কাৰ্য্য হইত। খাস কমিশন সদর দেওয়ানীর অঙ্গ ছিল বলিলেই হয়। মুন্সী আমীর আলী উভয় সদর নী ও খাস কমিশনের ওকালতী করিতেন। পিতা ঠাকুরের সহিত पूँजी আমীর আলীর আন্তরিক বন্ধুতা জন্মিয়ছিল। মুন্সী সাহেব আমার পিতা ঠাকুরকে “রাজদার দোস্ত” বলিতেন। যে বন্ধুকে গোপনীয় কথা বলা যাইতে পারে, পার্শিতে তাহাকে “রাজদার দোস্ত” বলে। প্ৰায় প্ৰতিদিন মুন্সী আমীর আলীর বাটী হইতে আমাদিগের বাসায় একটা টিনের বাক্স আসিত। আমি মনে করিতাম যে, মুন্সী আমীর আলী পিতা। DDDBD SBYB YTS DD DDBDBB DBBB BB DDD D থাকেন। ( পিতা ঠাকুর খাস কমিশনের হেডক্লার্কের কাৰ্য্য করিতেন, আবার ঠিক কাগজ তরজমা করিয়াও কিছু উপাৰ্জন করিতেন )। এক দিন সন্ধ্যার পর আমাকে পিতাঠাকুর তাহার লিখিবার ঘরে ডাকিলেন। ডাকিয়া ঘরের দরজা বন্ধ করিয়া দিলেন। আমি বুঝিতে পারিলাম না। যে ব্যাপারটা কি ? তাহার পর দেখিলাম, তিনি একটি দেরাজ খুলিয়া একটি কর্কস্কু ও একটি সোরীর বোতল ও একটি ওয়াইন গ্লাস বাহির করিলেন। তৎপরে প্রকাণ্ড টিনের বাক্সটি খুলিলেন । টিনের বাক্স খোলা হইলে আমি দেখিলাম যে, তাহাতে সদর দেওয়ানীয় কাগজ নাই,