বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৈশব ও তৎকালিক শিক্ষা । 8ግ করাতে আমার কলেজের সমাধ্যায়ীরা আশ্চৰ্য্য হইয়াছিলেন। র্তাহার আমাকে এক অদ্ভুত জীব মনে করিয়াছিলেন। তাহারা সকলেই সংশয়বাদী অথবা ধৰ্ম্মের প্রতি উদাসীন ছিলেন। কলেজের উত্তম ছোকরা যে ব্ৰাহ্ম হইতে পারে, ইহা তঁহাদিগের স্বপ্নের অগোচর ছিল। ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়াই পরম শ্রদ্ধাস্পদ দেবেন্দ্র বাবুকে এক পত্র লিখি। তাহাতে আমাদিগের শাস্ত্ৰ হইতে এমন এক গ্ৰন্থ সঙ্কলন করিতে র্তাহাকে অনুরোধ করি। যাহার প্রথম ভাগে বেদের, দ্বিতীয় ভাগে স্মৃতির ও তৃতীয় ভাগে ইতিহাস পুরাণ ও তন্ত্রের বাছা বাছা শ্লোক সকল থাকিবে । ইহা ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্ৰন্থ সঙ্কলনের অনেক দিন পূর্বে লিখি। দেবেন্দ্র বাবু এই পত্ৰ পাইয়া আমার সঙ্গে কথোপকথন করিতে এবং ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারার্থ আমার সহিত পরামর্শ করিতে ও তদ্বিষয়ে আমার সাহায্য লইতে প্ৰত্যহ গাড়ী পাঠাইতেন। আমি গিয়া দেখি, আমার ভূতপূর্ব শিক্ষক দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ব্যবস্থান্দৰ্পণ-প্ৰণেতা বিখ্যাত শুষ্ঠামাচরণ সরকার তখন তাহার প্রধান সঙ্গী। দুর্গাচরণ বাবু ইংরাজীতে উপনিষদ তরজমা করেন এবং শুমাচরণ বাবু বক্তৃতা করেন। শ্যামাচরণ বাবু যে দিন সমাজে বক্তৃতা করিতেন, সেদিন লোকে লোকারণ্য হইত। অসংখ্য যুবকের আগমন হইত। তাহার বক্তৃতার কিঞ্চিৎ নমুনা নিম্নে প্রদত্ত হইল। “ধৰ্ম্মযুদ্ধে অধৰ্ম্মবিরুদ্ধে সাজ রে সাজ, কি ভয়, কি সংশয়, যতোধৰ্ম্ম স্ততোজয়, সাজ রে সাজ।” তিনি অবশ্য গন্তে বক্তৃতা করিতেন, কিন্তু উপরে উদ্ধৃত তাহার বক্তৃতার অংশ দিব্য ছন্দের আকারে নেওয়া যাইতে পারে। “ধৰ্ম্মযুদ্ধে অধৰ্ম্মবিরুদ্ধে সাজ রে সাজ। कि उम्र, कि जश्न, যতোধৰ্ম্ম স্ততোজয় । गांखा (झ गांख ॥”