বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজবালা নাটক.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজবালা নাটক । . بينها চওঁীর মন্দিরে চাৰু, স্বৰ্গীয় প্রডিমানিৰ্ম্মিত উমার মূৰ্ত্তি, পাবে আরাধিকে সমযোগ্য, তব রূপে । অঞ্জলি ভরিয়ে যবে পুনঃ, পুষ্পভার ফেলিবে চরণে, বাঞ্ছিত অমৃত মুখে হৃদয় পূরিবে, হাসিবে হৃদয় তব, হাসিবে অম্বিকে ; যবনিকা পাশে পতি হাসিতে মাতিবে – সে হাসি কি আমি, দেবি, পারিব হাসাতে ? পূর্ণিমার কার্ষ্য অমানিশা কি সাধিবে ? : হেট বদন—আর কথা নাই যে চন্দ্ৰবদন ! বোধ করি সত্য কথাই বলেছি, এর উত্তর কি ? : রাজ। তুমি যেমন পাগলিনী তেমনি কথা-ঠাকুরদের কাছে মহৎ, অধম, জ্ঞানী, অজ্ঞানী, ধনী, দরিদ্র, আছে ? তাদের নিকট ভক্তিই মুক্তির মূল । লক্ষনী । ওরে ঠাকুরের বিচার ভাল ! যাদের বাটতে মেষ মহিষ বলিদান, নাচ যাত্রা, সঙ্গীতের উৎসব, ঝাড় লণ্ঠন ঠন ঠন, মোম বাতি, সোণার সাজ, রেসমি সাটী, প্রচুর ব্রাহ্মণ ভোজন, মাছের মুড়, গও গও মও মিঠাই বিতরণ, তাদের পূজাতে যেমন তৃপ্তি ; আর যাদের ঘরে সুপরি উৎসর্গ পানফল উপকরণ, জেলেকাচা, টেঙ্গরা মাচ ভাজা, আর নেকড়াই চণ্ডীর মত গোট কতক ভূত ছেলে, বাঞ্জ কাসর বাজিয়ে আরতির সময় সামান্য আলো জ্বেলে, তার পর রাত ভোর মাকে অন্ধকার চণ্ডীমণ্ডপে বঁাক র্যাক মশার মুখে ফেলে যায় তাদের পূজাতেও তেমনি!