বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১৭১
রামমাণিক্য

 নক্ষত্র রায়[১] হইতে মুর্শিদাবাদের নবাবের সহিত রাজদ্রোহসূচক সূত্র দৃষ্ট হয়, সেই সূত্র অবলম্বনে তাঁহার পিতার ন্যায় তাঁহারও বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলিল। রামমাণিক্যের অনুজ দুর্গাঠাকুর-তনয় দ্বারকা নক্ষত্ররায়ের অভিনয় সুরু করেন। তিনি গোপনে মুর্শিদাবাদ যাইয়া নবাবের সাক্ষাৎ কামনা করেন। নবাব সকাশে ষড়যন্ত্রের বিষয় চাপিয়া যাইয়া কৌশলে কেবল এইটুকু জানান যে রামমাণিক্য বার্দ্ধক্য হেতু একেবারে স্থবির, রাজ্যশাসনে অপারগ। মুখে না বলিলেও ইঙ্গিতে বুঝাইতে চাহিলেন যদি নবাব সৈন্য সাহায্য করেন তবে দ্বারকা সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হইয়া নবাবের নিকট আত্মবিক্রয় করিতে পারেন। সুচতুর নবাব দ্বারকার বাক্য প্রত্যয় না করিয়া নিজ অনুচর পাঠাইয়া দেন।

 নবাবের অনুচর এদিক সেদিক ঘুরিয়া সকল খবর সংগ্রহ

  1. রাজমালায় ঠাকুর উপাধি নক্ষত্র রায়ের সহিত যুক্ত দেখিতে পাওয়া যায়। রত্নমাণিক্যও রাজা হইবার পূর্ব্বে রত্ন ঠাকুর নামে আখ্যাত হইতেন, তাঁহার অন্যান্য ভাইদের নামের সঙ্গেও ঠাকুর উপাধিযুক্ত দেখিতে পাওয়া যায়। সে সময়ে ঠাকুর উপাধি বর্ত্তমানের মহারাজ কুমার ও কুমারের স্থলবর্ত্তী ছিল।
     “মহারাজ রামমাণিক্য স্বীয় জ্যেষ্ঠ পুত্র রত্নদেব ঠাকুরকে যৌবরাজ্যে এবং “বড়ঠাকুর” নামে একটি নূতন পদ সৃষ্টি করিয়া দ্বিতীয় পুত্র দুর্জ্জয়দেব ঠাকুরকে ঐ পদে নিযুক্ত করিয়াছিলেন।” কৈলাস সিংহের রাজমালা—৯৫ পৃঃ।