বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজা গনেশ - শচীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ। es মহম্মদ শেরানের সহিত কৃত্যুম্ন আলীমদ্দনের শক্তি পরীক্ষা হয় । আত্ৰেয়ী তীরে শেরান নিহত হইলেন । রূমীর সাহায্যে নরকুলক লঙ্ক আলী মৰ্দন দেবীকোটের সিংহাসনে বসিল । দিল্লীর সেনাদল আসিয়া দেবীকোট অবরোধ করিল। আলীমৰ্দন নিহত হইল-বিশ্বাসঘাতক হাসাউদ্দীন, গিয়াসুদ্দীন নাম গ্ৰহণ করিয়া সিংহাসনে আরোহণ করিল। এইরূপে বার স্বার আক্রান্ত হওয়ায় দেবীকোট, ঐশ্বৰ্য্য ও সমৃদ্ধি-ভ্ৰষ্ট হইল। এক্ষণে দেবীকোটের সে সৌধমালা নাই, সে ঐশ্বৰ্য্য নাই। সকলই লোপ পাইয়া এখন শুধু ইতিহাসে স্থান পাইয়াছে। নগরের একপ্ৰান্তে দুৰ্গ। অপর প্রান্তে দেশবিখ্যাত দেবীর মন্দির । মন্দিরের পিছনে ঘন বৃক্ষশ্রেণী-দক্ষিণে বিস্তীর্ণ জলাশয়-বামে সুরম্য পুষ্পোদ্যান—সম্মুখে উন্মুক্ত প্ৰান্তর । প্ৰান্তরের অপরাধারে নগর । নগরে হিন্দুর সংখ্যাই বেশী। মুসলমানও বড় কম ছিল। না । নগরের স্থানে স্থানে মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহারা ঈশ্বরকে ডাকিত। হিন্দুরা নগরপ্রান্তে আসিয়া মহামায়ার চরণে ফুল চন্দন দিত। হিন্দু বা মুসলমান কেহ কাহারও হিংসা বা দ্বেষ করিত না। সকলেই বেশ মিলিয়া মিশিয়া প্রফুল্ল অস্তরে দিন অতিবাহিত করিতেছিল।