বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( >82 ) কোনো লোককে স্বার্থপর জানিলে তাহার বাক্যে স্থবোধ ব্যক্তির বিশেষ বিবেচনা না করিয়া বিশ্বাস করেন ন৷ অতএব আপনাদের শাস্ত্র আট পরম্বার্থ বিষয়ে কেন না বিবেচনা করিয়া বিশ্বাস করা যায় ! এস্থানে এক আশ্চৰ্য্য এই যে অতি অলপ দিনের নিমিত্ত আর অতি অলপ উপকারে যে সামগ্ৰী আইসে তাহার গ্রহণ অথবা ক্রয় করিবার সময় যথেস্ট বিবেচনা সকলে করিয়া থাকেন আর পরমার্থ রিষয় যাহা সকল হইতে অত্যন্ত উপকারী আর অতি মূল্য হয় তাহার গ্রহণ করিবার সময় কি শাস্ত্রের দ্বার কি যুক্তির দ্বারা বিবেচনা করেন না আপনার বংশের পরম্পরা মতে আর কেহ কেহ অীপনার চিত্তের যেমন প্রশস্ত্য হয়, সেই রূপ গ্রহণ করেন এবং প্রায় কহিয়া থাকেন যে বিশ্বাস থাকিলে অবশ্য উত্তম ফল পাইব । কিন্তু এক জনের বিশ্বাস দ্বারা বস্তুর শক্তি বিপরীত হয় না যেহেতু'প্রত্যক্ষ দেখিতেছি ষে ছুগ্ধের বিশ্বাসে বিষ খাইলে বিষ আপনার শক্তি অবশ্য প্রকাশ করে । বিশেষ আশ্চৰ্য্য এই যে যদি কোন ক্রিয় শাস্ত্র সংমত এবং সত্যকাল অবধি শিস্ট পরম্পরা সিদ্ধ হয় কেবল অলপ কাল কোনো কোনো দেশে তাহার প্রচারের ক্রটি জন্মিয়াছে আর সংপ্রতি তাহার অন্থঠানেতে লৌকিক কোনো প্রয়োজন সিদ্ধ হয় না এবং হাসা আমোদ জন্মে না তাহার অনুষ্ঠান করিতে কহিলে লোকে কহিয়া থাকেন যে পরম্পরা সিদ্ধ নহে কি রূপে ইহা করি, কিন্তু সেই সকল ব্যক্তি যেমন আমরা সেই রূপ সীমান্য লৌকিক প্রয়োজন দেখিলে পূৰ্ব্ব শিস্ট পরম্পরার অত্যন্ত বিপরীত এবং শাস্থের সর্ব প্রকারে অন্যথা শত শত কৰ্ম্ম করেন সে সময়ে কেহ শাস্ত্র এবং পূৰ্ব্ব পরম্পরার নামে করেন না যেমন আধুনিক কুলের নিয়ম যাহ। পূৰ্ব্ব পরম্পরার বিপরীত এবং শস্ত্র বিরুদ্ধ। আর ইঙ্গবেজ যাহাকে স্লেচ্ছ কহেন তা হাকে অধ্যয়ন করান কোন শাস্ত্রে অর কোন পূর্ব পরম্পরায় ছিল । আর কাগজ যে সাক্ষাৎ যবনের অন্ন তা হাকে স্পর্শ করা আর তাহাতে গ্রন্থাদি লেখা কোন শাস্ত্র বিহিত আর পরম্পর সিদ্ধ হয় ইঙ্গারেজের উচ্ছিষ্ট করা আদ্র ওয়ফর দিয়া বন্ধ করা পত্ৰ যত্ন পূর্বক হুস্তে গ্রহণ করা কোন পূর্ব পরম্পরাতে পাওয়া যায় আর আপনার বাটতে দেবতার পূজাতে র্যাহাকে স্বেচ্ছ কহেন তাহাকে নিম