বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ২১২ } দ্বিতীয় লিখেন যে“সকাম কৰ্ম্মের নিন্দাবোধক কোন শ্লোক” উত্তর – ভগবদগীতার যে যে শ্লোক কৰ্ম্মাধিকারে আছে সে সকলি কামনায় নিদা বোধক হয়, এ বিষয়ে যদি বিপ্রনামা মনোযোগ পূর্বক গীত দেখিতেন তবে ঐ প্রশ্নও করিতেন না | . তৃতীয় লেখেন যে “ভগবদগীতার যে কয়েক শ্লোক মুদ্রাঙ্কিত হইয়াছে তাহার অধিকারী সকামী কিঃনিষ্কামী” উত্তর –ঐ শ্লোক সকলেৰ বিষয় সেই সেই ব্যক্তি হন যাঁহাদের কৰ্ম্মেতে অধিকার আছে, কিন্তু সকাম কৰ্ম্ম কৰ্ত্তব্য কি নিষ্কাম কৰ্ম্ম কৰ্ত্তব্য এই সংশয়ে ভগবান সকাম কৰ্ম্মের নিন্দ পূর্বক নিষ্কাম কৰ্ম্ম করিতে আজ্ঞা দিয়াছেন। * চতুর্থ লিখেন,নিষ্কাম লোক অধিক কি সকাম লোক অধিক ৷ উত্তর।– এ অস্ত্ৰত প্রশ্ন হয়, লোকের যে ভাগ অধিক সেই ভাগ যদি উত্তম রূপে গণনীয় হয়, তবে স্বরক্তিস্থিত ব্রাহ্মণ হইতে এ ভারতবর্ষে স্বরক্তি ত্যাগী ব্রাহ্মণ অত্যন্ত অধিক,এমতে স্বরতি ত্যাগ কি উত্তম রূপে গণিত হইবেক । পঞ্চম লিখেন যে অলপ বুদ্ধি স্ত্রীলোকের কামনার কি প্রকারে নিরাস হয়। উত্তর –পরমেশ্বরের আরাধনাতে প্রবৃত্তি দিলেই নিন্দিত কাম্য কৰ্ম্ম হইতে নিৰ্বত্তি ও তৎপরে সদগতি স্ত্রী পুরুষ উভয়ের সমান রূপে হইতে পারে। ( প্রমাণ ভগবদগীতা ) “মাং হি পাৰ্থ ব্যপাশ্রিত্য যেপি স্থাঃ পাপযোনয়ঃ স্ক্রিয়োবৈশ্যাস্তথা শূদ্রাস্তেহপি যান্তি পরাং গতিং" এবং মৈত্ৰেয়ী প্রভৃতি স্ত্রীলোকের কাম কৰ্ম্ম ত্যাগ পূর্বক পরমেশ্বরের আরাধনা দ্বারা , পরম গতি প্রাপ্তি হইয়াছে ইহা বেদ পুরাণ ইতিহাসাদিতে প্রসিদ্ধ আছে। ষষ্ঠ লেখেন। “ন বুদ্ধিভেদং জময়েদজ্ঞানাং কৰ্ম্মসঙ্গিনাং” এই গীতার শ্লোকের তাৎপৰ্য্য লেখক কি স্থির করিয়াছেন ৷ উত্তর – বিপ্রনামা কিঞ্চিং শ্রম করিয়া ঐ শ্লোকের পরাদ্ধ দৃষ্টি করিলেই তাৎপৰ্য্য জানিতে পারিতেন, যেহেতু ঐ, শ্লোকের পরান্ধে লিখেন । “যোজয়েং সৰ্ব্বকৰ্ম্মাণি বিদ্বান যুক্ত সমাচরন”। অর্থাৎ জ্ঞানবান ব্যক্তি আপনি কৰ্ম্ম করিয়া অজ্ঞানি কৰ্ম্ম সঙ্গিকে কৰ্ম্মে প্রবর্তক হইবেন, যেহেতু জ্ঞানির নিষ্কাম কৰ্ম্ম দেখিয়া অজ্ঞানীও সেই প্রকার কৰ্ম্ম করিবেক, সুতরাং জ্ঞানির কদাপি কাম কৰ্ম্মে অধিকার নাই তাহার নিষ্কাম কৰ্ম্ম দেখিয়া