বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( రి 8 ) মোহনার্থ অসদাগম হয়েন, আর আমাদের ঐ পূর্ব লিখিত বচন প্রমাণে পশ্বধিকারীয় তন্ত্র সকল মোহনাৰ্থ অসদাগম হয়েন আর ঐ ঐ বচনকে উভয় ধৰ্ম্মের স্তুতিপর স্বীকার করা না যায়, তবে শিবপ্রণীত সকল শাস্ত্রের বৈযর্থ ও অপ্রামাণ্য এককালেই হইল, এবং সর্বজ্ঞ ও ধৰ্ম্ম সেতু রক্ষাকর্তা পরমারাধ্য ভগবান মহেশ্বরের মিথ্যাবাদিত্বে ও আত্ম পুরুষত্বে শঙ্কা জন্মে এবং মহেশ্বর প্রণীত শাস্ত্রের যদি অপ্রামাণ্য হয় তবে ভগবান পরমেষ্টির প্রণীত বেদ শাস্ত্রেরও অপ্রীমাণের প্রসক্তি কেন না হয় ? যেহেতু শাস্ত্রে তুল্য রূপে উভয়কেই সর্বজ্ঞ আগু ও সত্য স্বরূপ একাত্মা কহিয়াছেন, সুতরাং একের বাক্য লঙ্ঘনে অন্যের বাক্য লজঘন হইতেই পারে ; অতএব ধৰ্ম্মসংহারক আপনি এই ব্যবহার দ্বারা যে “এক শাস্ত্রের প্রামাণ্য, অন্য শাস্ত্রের অপ্রামাণ্য অবশ্যই কহিতে হইবেক” বেদাগম সৰ্ব্ব শান্সের উচ্ছেদক হয়েন,কি না ? এবং “ধৰ্ম্মসংহারক” এই নাম তাহার উচিত হয় কি না পণ্ডিতের বিবেচনা করিবেন । যদ্যপিও ধৰ্ম্মসংহারক পশু ধৰ্ম্ম বিধায়ক তত্ত্বকে শাস্ত্রত্বে মান্য কহিয়া বীরধৰ্ম্ম বিধায়ক তন্ত্রের অপ্রমাণোর ব্যবস্থা দিলেন, কিন্তু ভগবান মহেশ্বর ইহার বিপরীত সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, অর্থাৎ তৰিত তন্ত্রের প্রামাণ্য কহিয়া অধিকারি ভেদে পরস্পরের অনৈক্যের মীমাংস করেন । মহগনিবর্বtণ ( তন্ত্রাণি বহুধোক্তানি নানাখ্যানাম্বিতানি চ । সিদ্ধানাং সাধকনাঞ্চ বিধাননি চ ভূবিশঃ , যথা যথা কৃতা: প্রশ্বাঃ যেন যেন যদ যদা । তথা তসোপকারায় তথৈৰোক্তং ময় প্রিয়ে । অধিকারিবিশেষেণ শাস্ত্রাক্তা ন্যশেষতঃ । স্বেস্বেহধিকারে দেবেশি সিদ্ধিং বিমদতি মানব: ) অর্থাৎ নানা আখ্যানযুক্ত অনেক প্রকার তন্ত্ৰ কহিয়াছি, সিদ্ধ ও সাধকের নানা প্রকার বিধান কহিয়াছি—যে যে সময়ে যাহার যাহার দ্বারা যে যে রূপ প্রশ্ন হইয়াছিল তখন তাহার উপকারের নিমিত্ত্ব তদনুরূপ শাস্ত্ৰ কহিয়াছি— অধিকার ভেদে নানাবিধ শাস্ত্ৰ কহা গিয়াছে অাপন আপন অধিকারে মনুষ্য সকল সিদ্ধি প্রাপ্ত হয়েন । এখন জিজ্ঞাস্য এই হইতে পারে যে ধৰ্ম্মসংহারকের ব্যবস্থা মান্য হইয়া কি সকল শাস্ত্র উচ্ছন্ন হইবেক ? কি.ভগবান মহেশ্বরের আজ্ঞ শিরোধাৰ্য্য হইয়; শাস্ত্ৰীসকল রক্ষণ পাইবেক ? ॥