ভূমিকা বন্ধনের অন্তরে মুক্তির স্বরূপই সৃষ্ট বৈ গুণ্যের চরম মাধুর্য । যুগ হষ্টতে যুগ কল্পাং কল্পান্তর ক্রমবিকশিত আবৰ্ত্তনের মধ্য দিয়া এই নিগূঢ় তথ্য প্রমাণিত হইখ আসিতেছে। স্মৃষ্টির উৎকর্ষ—মানুষই—ইহার পথ প্রদর্শক । ধনী হউক, নিধন হউক, শিক্ষিত হউক বা অশিক্ষিত হউক, ব্যক্তি নির্বিবশেষে, নিবিড় আবেষ্টনের মধ্যেও বন্ধন মোচনের আকাজক্ষা জীবাত্মার সহিত পরতে পরতে এমনই ওতঃপ্রোত ভাবে সংশ্লিষ্ট—জন্ম জন্ম স্তব পরিয়া যে অপরাজেয় সংস্কারের ন্যায় অম্লপ্রেরণা দ্বারা প্রতিনিয়তই আধারকে অনুপ্রাণিত করিয়া মুক্তিরূপে আত্মপ্রকাশ করিতে চেষ্ট করে। অপৌরুষেয় অনাদি শক্তির এই লীলাই আমাদের জীবন । লীলা রঙ্গমঞ্চের আধার এই জগৎ সংসারের পট পরিবর্তনের নিত্য নব রূপান্তব মাধুর্য্যে আমাদের ভ্ৰমাত্মিক অস্তিত্বেব পরীক্ষা—যাহাকে আমরা দুঃখ বলিয়া থাকি এবং তাহাই বন্ধন । বৈরাগ্যের দ্বারা ংসারে অনাসক্ত হইতে পারিলেই আত্যন্তিকী দুঃখ নিবৃত্তি হইয়া যায় এবং সেই দুঃখ নিবৃত্তিই মুক্তির নাম। স্তর। ‘রাজা’, অবতীর্ণ হইয়ছেন লীলাময়ী প্রকৃতিরই ক্রীড়াধাররূপে । ব্যক্তিগত সংস্কারের পশ্চাতে, সাংসারিক সুখ-স্বপ্নের অন্তরালে, কঠিন কৰ্ত্তধ্য নির্দেশক রাজদণ্ডের ভিত্তিতলে ছিল নিবৃত্তির তীব্র আকাজক্ষা— প্রচ্ছন্ন, অলক্ষিত, ছায়ার মত । গুহের নিবিড়তা ভেদ করিয়া, ভোগের চরম পরিণতি ত্যাগে মিলাইয়া, ন্যায়ের মর্য্যাদা সুবিস্তস্ত করিয়া ‘রাজা’ বাছিয়া লইলেন পথ—ঋষির, মনুষ্য জীবনের পরাকাষ্ঠা —ইহার অধিক আর কি কল্পন করা যাইতে পারে। বলা বাহুল্য যে, এই গ্রন্থে কোন ঐতিহাসিক চরিত্র নাই এবং গ্রন্থেৰ অন্তর্নিহিত উদ্ধতাংশগুলি সমীচিন ও মুরুচি সম্পন্ন এবং যে সকল মহাজ্ঞানী মহাজন রচিত পুস্তকাদি হইতে সংগৃহীত হইয়াছে র্তাহীদের কীৰ্ত্তিধ্বজার ছায়া শুধু পরম সৌভাগ্যের বিষয় নহে চির বাঞ্ছিত ! শ্রীনন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায় বি এ
