পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১২২ } காது সম্বন্ধীয় রত্তান্ত এক ভগবানই জানেন, যে সময়ে, যেরূপে, যাহা বলিলে ভাল হয়, তাহা তিনিই স্বয়ং বলিয়া যান, র্তাহার কার্য্য এবং বাক্য আলোচনা করিলে সাধারণের জ্ঞান জন্মিবার এবং কল্যাণ হইবার একমাত্র উপায় । তিনি তজ্জন্য ব্যক্তিবিশেষের দ্বারা তাহ সম্পন্ন করিয়া থাকেন। সাধনার অধিকারী নিরূপণ প্রসঙ্গ লইয়া অদ্য আপনাদের নিকটে আমার উপস্থিত হওয়া তাহারই আজ্ঞা জানিবেন। ঈশ্বর সাধনার অধিকারী কাহারা, যদ্যপি এই বিষয় লইয়া চিন্তার স্রোতে ভাসিতে চেষ্টা করা যায়, তাহা হইলে আর কুল পাওয়া যায ন।. ভাবিতে ভাবিতে একেবারে ভাসিয়া যাইতে হয় । ঈশ্বর সাধন। করিবার কে যোগ্য বা অযোগ্য, ইহার সিদ্ধান্ত করিয়া দেওয়া একেবারেই মনুষ্যশক্তির অতীত কথা । আমাদের শাস্ত্রজ্ঞের বলেন, শাস্ত্রবিশেষের অভিপ্রায়ে জাতি ও ব্যক্তিবিশেষ ব্যতীত অন্যের সাধন কার্য্যের অধিকার নাই। সাধন করা দুরের কথা, এমন কি ব্যক্তিবিশেষের প্রণব উচ্চারণ করা ও ধৰ্ম্মত: নিষিদ্ধ। ইতিহাস এই সকল কথার বিরুদ্ধে পরিচয় দিয়া থাকে। অর্থাৎ যাহারা শাস্ত্রবিশেষ মতে সাধনে অনধিকারী,সেই সকল নরনারীর সাধনের ফল লাভ পূৰ্ব্বক মানব দেহ সফল করিয়া গিয়াছেন এবং অদ্যাপি যাইতেছেন । সুতরাং কার্য্যক্ষেত্ৰে দ্বিবিধ মত বলবতী দেখিতে পাওয়া যায় । বর্ণ ও জাতিবিশেৰে সাধনায় অধিকারী এবং বর্ণ ও জাতিবিশেষে তাহাতে অনধিকারী বলিলে ব্রাহ্মণাদি দ্বিজ এবং শূদ্র ও পুথিবীর যাবতীয় জাতি বুঝায়। কোন মতে ব্রাহ্মণেরাই সাধনের এক অদ্বিতীয় পাত্র এবং অপরাপর জাতির সুরুতি ফলে জন্মান্তর প্রক্রিয়ায় আত্মার বিশুদ্ধত লাভ করিয়া ব্রাহ্মণ কুলে জন্মগ্রহণ করিলে তবে তাহাদের সাধনের অধিকার জন্মায়, অতএব এই পক্ষের মতে ব্রাহ্মণই সাধনের অধিকারী বলিয়া জ্ঞাত হইতে