বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ هره لا ] নিমিত্ত যদ্যপি তাহার শাস্ত্রালোচনা হয়, কামিনীকাঞ্চনের উদর পূৰ্ত্তির মানসে যদ্যপি শাস্ত্র ব্যাখ্যা হয়, তাহা হইলে ভিনি ঐশ্বরিক ভাব বিবর্জিত হইলেন, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । ঐশ্বরিক ভাব, ঐশ্বরিক উদ্দেশ্য, ঐশ্বরিক কামনা যথায় নাই, তথাকার কার্য্য অবশ্যই ঈশ্বরৰিহীন হইবে । মনে ঈশ্বর নাই, সে ব্যক্তি কিরূপে ঈশ্বর সাধনের অধিকারী হইবেন ? এই নিমিত্ত ব্রাহ্মণ বর্ণ একমাত্র ঈশ্বর সাধনার অধিকারী বলা যাইতে পারে না । শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্র গৌরাঙ্গরূপে অবতীর্ণ হইয়া যেরূপে কাৰ্য্য করিয়াছিলেন, তদ্বারা অধিকারী এবং অনধিকারী সম্বন্ধে বিশেষ জ্ঞান প্রাপ্ত হওয়া যাইতে পারে। র্তাহার পারিষদবর্গদিগের মধ্যে ব্রাহ্মণ ব্যতীত সকল প্রকার বর্ণই ছিলেন। হিন্দু জাতির কথাই নাই, যবনকুলগৌরব হরিদাস র্তাহার কৃপা লাভ করিয়া বৈষ্ণবচূড়ামণি হইয়াছিলেন । হরিদাসের জন্য মহাপ্রভু সৰ্ব্বদা অস্থির থাকিতেন । হরিদাস মুসলমান ছিলেন, তিনি সৰ্ব্বদা প্রভুর নিকটে গমন করিতে সঙ্কুচিত হুইতেন । তিনি কখন তক্তমণ্ডলীর সহিত একাসনে উপবেশন করিতে চাহিতেন না, এই নিমিত্ত মহাপ্রভু, হরিদাস আসিয়াছেন শুনিবা মাত্র, অন্যান্য ভক্তদিগের সহিত কথা না কহিয়া বৎস-রব শ্রবণ মাত্ৰ গাভী যেমন উৰ্দ্ধশ্বাসে ধাবিত হয়, তিনি আমার হরিদাস, কোথায় আমার হরিদাস বলিয়া বাহু প্রসারণ করিয়া হরিদাসকে আলিঙ্গনপূর্বক প্রেমাশ্র বিসর্জন করিয়া ভক্তের প্রাণ সুশীতল করিতেন। হরিদাস যবন, ব্রাহ্মণ ছিলেন না, ইহা প্রত্যক্ষ কথা, ঐতিহাসিক কথা । যবন ভগবানের আলিঙ্গন পাইয়াছিলেন, যবন ভগবানের হৃদয়ে স্থান পাইয়াছিলেন, যবন ভগবানের ক্রোড়ে উপৰেশন করিয়াছিলেন । ৰবনের জন্য প্ৰভু অস্থির হইয়াছিলেন, যবনকে তিনি সৰ্ব্বাপেক্ষা সম্মান