বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{6 ه د] পরমাত্ম সঙ্কল্পানুসারে যদিও জীব উপাধি পাইয়া কিয়ৎকাল আত্মবিস্তৃত হইয়া পৃথিবীমণ্ডলে বিহার করেন বটে, কিন্তু তাহাতে তত্ত্ব পক্ষের কোন দোষ হয় না । | লীলায় একের বহু বিকাশ হওয়া লীলাময়ের উদ্দেশ্য, এ সম্বন্ধে পূৰ্ব্ব বক্তৃতাদিতে অনেক কথা বলিয়াছি। লীলার পদার্থগত ভাবান্তর থাকিলেও নিত্যে সেরূপ থাকে না । এই নিমিত্ত জড় এবং চৈতন্য বা স্থষ্টি এবং স্বষ্টিকর্তা সম্বন্ধীয় বিচারে লিপ্ত হইতে হইলে, এক পক্ষে আবদ্ধ থাক কৰ্ত্তব্য নহে । স্থল, ক্ষা, কারণ এবং মহাকারণ অবধি ক্রমান্বয়ে আরোহন এবং অবরোহন ব্যতীত কস্মিনকালে আত্মা-সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করা যাইতে পারে না। এই বিষয়ট সহজ দৃষ্টান্ত দ্বারা রামকৃষ্ণদেব কহিয়াছেন, যেমন বেলের বিচি হইতে গাছ হয়। গাছের কাণ্ড, প্রকাণ্ড, শাখা, প্রশাখা, পল্লব, প্রপল্লব, ফুল, ফল ইত্যাদি সমুদায় এক সত্ত হইতে জন্মায়। বেল পাকিলে তাহার খোসা অতিশয় কঠিন, শণস সুমিষ্ট বলিয়া তাহা আমরা ভক্ষণ করিয়া থাকি, কিন্তু খোসা অথবা বিচি কিম্বা অাঠ। আমরা ফেলিয়া দিয়া থাকি । যদিও বেলের শশস গ্রহণীয় বটে কিন্তু তাহা বলিয়া খোসা, বিচি বা শাস হইতে স্বতন্ত্র নহে ; যেহেতু, এক সত্তা হইতে সকলেই জন্মিয়াছে। সেইপ্রকার ব্রহ্মাত্মা হইতে ব্ৰহ্মাণ্ড রচনা হইয়া নানাভাবে পরিদৃশুমান রহিয়াছে। যেমন স্থলদশী বেলের শাস এবং বেলকাষ্ঠকে এক বলিতে পারেন না, কারণ, উহাদের ধৰ্ম্মের একেবারেই সামঞ্জস্য নাই, তেমনি জীবগণ সৰ্ব্বপ্রথমে স্কুল ঘটনা দেখিয়া জড় এবং চৈতন্যকে পৃথক্ বলিয়া জ্ঞান করিয়া থাকেন। এ প্রকার মীমাংসা ও ভ্ৰমারত নহে । কারণ রামকৃষ্ণদেব বলিয়া গিয়াছেন যে, কাচা সুপারি বা নারিকেল শুষ্ক না হইলে খোসা হইতে শাস পৃথক্ হইয়া পড়ে না ।