বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २०8 ] হয়ত ভ্রম দর্শন করিয়া থাক।” প্রভুর এই রহস্তরঞ্জিত রঙ্গ দেখিয়৷ গোস্বামীজী কহিলেন, “প্ৰভু ! কেন আমায় বঞ্চনা করেন ?” যাহা দেখি তাহা ভ্ৰম! আমি যে আপনার পদসেবা করিয়া থাকি !” এই বলিয়া তিনি প্রভুর উরুদেশে হস্তাপর্ণ পূৰ্ব্বক বলিলেন, “এখন যেমন আপনাকে উপলব্ধি করিতে পারিতেছি, তখনও এইরূপ উপলব্ধি করিয়া থাকি।” প্রভু আপনি এইরূপে নানাস্থানে ভজদিগের মনোসাধ পূর্ণ এবং বর্তমানকালের অবিশ্বাসীদিগের বিশ্বাস স্থাপন করিবার জন্য আত্মারূপে পরিভ্রমণ করিয়াছিলেন। একথা যে কেবল আমি একাকী জানি, তাহা নহে। রামকৃষ্ণদেবের প্রত্যেক ভক্তের মুখে এই কথা শুনা যায়। স্থলে যদিও আত্মা এবং দেহ স্বতন্ত্র বলিয়া জ্ঞাত হওয়া যায় এবং প্রভুর লীলা হইতে তাহার দৃষ্টান্ত দেওয়া গেল, কিন্তু বাস্তবিক দেহ এবং আত্মার পার্থক্য নাই। এক পরমাত্মাই আত্মা, দেহ এবং সকল প্রকার দৃশু ও অদৃশ্ব পদার্থের একমাত্র নিদানস্বরূপ ; একথাটা যেন কেহ বিস্মৃত না হন । যেমন জল, বরফ এবং বাষ্প তিনটীই এক পদার্থের রূপান্তর হইলেও জল ও বরফ হইতে বাষ্প বাহির হইয়া একাকার থাকে ; সেইরূপ পরমাত্মা, আত্মা এবং জড় পদার্থাদির স্বাতন্ত্র্য সত্ত্বেও এই ত্রিবিধাবস্থায় পরমাত্মা একভাবে অবস্থিতি করিয়া থাকেন । এই নিমিত্ত জড় বস্তু বলিয়া কাহাকে স্বীকার করা যায় না । সৰ্ব্বত্রে চৈতন্য বা পরমাত্মা বিরাজ করেন, ইহাও বিশ্বাস করিবার কথা নহে। কারণ, জড়পদার্থ বলিয়া আমাদের বিলক্ষণ জ্ঞান আছে, সেই চিরাভ্যস্ত সংস্কার বিনা বিজ্ঞানে কখন বিদূরিত হইতে পারে না। প্রভুর শ্ৰীমুখে আমি শুনিয়াছি যে, সৰ্ব্বত্রেই পরমাত্মা বিরাজ করিয়া থাকেন । এমন স্থল নাই, যেস্থানে তাহার অস্তিত্ব নাই। দেখিবার