পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২২৩ ] সংসার স্থাপিত হইত এবং ধৰ্ম্ম রক্ষার নিমিত্তই কামিনীকাঞ্চনের আশ্রয় লওয়া হইত, কিন্তু বৰ্ত্তমান কালে ধৰ্ম্ম কোথায় ? কে ধৰ্ম্মের উপরে সংসার স্থাপন করিতেছেন ? সুসস্তান, স্বধৰ্ম্ম রক্ষা করিবে বলিয়া কে সন্তান কামনা করেন ? শাস্ত্রের পদলেহন করা পূৰ্ব্বকালের আত্মগৌরব ছিল ; কিন্তু বৰ্ত্তমান কালে শাস্ত্রের মস্তকমুণ্ডন পূর্বক তক্র ঢালিয়া দেওয়া ব্রতবিশেষ হইয়া দাড়াইয়াছে। একথা কল্পিত নহে, অতিরঞ্জিত নহে—অথবা বাচালতাপ্রস্থত নহে । সত্য কথা বলিতেছি, প্রত্যক্ষ কথা বলিতেছি, দৈনিক ঘটনা বলিতেছি । কামিনীকাঞ্চনই বর্তমান কালের সংসারাশ্রমের একমাত্র উদ্দেশু। এই উদ্দেশ্য চরিতার্থের নিমিত্ত শাস্ত্রের—হিন্দুদিগের পরম পবিত্র শাস্ত্রের—আশ্রয় লইয়া অন্যায় কার্য্যের ভীষণ প্রবাহ চলিতেছে, তাহা কে না দেখিতে পাইতেছেন ? শাস্ত্ৰাধ্যাপকদিগের উদর পূর্ণ করিয়া কাঞ্চন প্রদান করিলে কে কি না করিতে পারেন ? অর্থের পরাক্রমে বেশ্যাসস্তানও সমাজের শিরোভূষণ হইতে পারেন, অর্থের পরাক্রমে ম্লেচ্ছাচারী যবনযুবতীর অধরমুখ পান করিয়াও সংসারাশ্রমের বক্ষে পদাঘাত করিতে পারেন, কাঞ্চনের পরাক্রমে অঘটন সংঘটন হইয়া যাইতেছে। একদা কোন ব্যক্তির বাটতে দুর্গোৎসবোপলক্ষে ব্রাহ্মণের বাটতে নৈবেদ্য প্রেরিত হইয়াছিল। ব্রাহ্মণের ধৰ্ম্মঘট করিয়া বলিলেন যে, উহার প্রদত্ত নৈবেদ্য গ্রহণ করা কৰ্ত্তব্য । কারণ যে ব্যক্তি যবনস্পর্শিত স্নেচ্ছের ভোজ্য বস্তু ভক্ষণ করে, তাহার দণনগ্রহণ করিলে পতিত হইতে হইবে ; অর্থাৎ ধৰ্ম্মহানি হইবে । কেহ নৈবেদ্য লইলেন না। এই ভদ্রলোকের বুদ্ধা জননী নৈবেদ্য ফিরিয়া আসিবার হেতু শ্রবণ করিয়া পুত্রের সমক্ষে আত্মঘাতিনী হইবার উদ্যোগ করায়, তিনি সহাস্তে বলিলেন, “মা ! তুমি স্থির হও, কোন চিন্তা নাই। মা ! কলিকালের ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম বাক্সের