বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৩৪ ] বিকৃত হইয়া গিয়াছে। আপাততঃ আমাদের আশ্রম ধৰ্ম্মের কার্য্য নাই বলিয়া যে তাহ নিম্প্রয়োজন, এ কথা মনে করা যারপরনাই অন্যায় । অনেকের ধারণা এবং বিশ্বাস এই যে, “আমাদের আশ্ৰমধৰ্ম্ম বলিয়া যাহা কথিত হইত, তাহ বৰ্ত্তমান কালের নিমিত্ত নহে । সংসার ত্যাগ করিয়৷ বানপ্রস্থাশ্রমী হওয়া অতি কঠোর কথ। বিশেষতঃ, বুদ্ধাবস্থায় স্ত্রীপুত্র পরিবারবেষ্টিত থাকিয়া জীবনযাত্র। নিৰ্ব্বাহ করা অপেক্ষ। বৰ্গবাসী হওয়া সুখের কথা, একথা কখন জ্ঞানবান ব্যক্তি স্বীকার করিবেন না যুবাকালে বনেই হউক, কিম্বা বৃক্ষমূলেই হউক, একবেলা ভোজন করিয়া অথবা উপবাসী থাকিয়াই হউক, স্বচ্ছন্দে দিন যাপন কর। যাইতে পারে, কিন্তু বৃদ্ধাবস্থায় কঠোর তপশ্চরণ করিতে যাইলে অচিরাৎ শরীর ভঙ্গ হইয়। আইসে। সেই ব্যক্তি যদ্যপি সংসারে থাকিত, তাহা হইলে যে কয়েক দিন বাচিত, বনে তাহার চতুর্থাংশ দিবসও বাচিবার সম্ভাবনা নাই ৷’’ তাহারা বলেন যে, সংসারে থাকিয়। মধ্যে মধ্যে ঈশ্বরের নাম করিলেই যথেষ্ট হইবে। সংসারাশ্রমের উৎকর্ষ তা সম্বন্ধে অনেকের মত, অনেকে এই আশ্রমকে সৰ্ব্বাপেক্ষ উচ্চ স্থান দিয়াছেন । যদ্যপি সংসারাশ্রমকে অন্যান্য আশ্রম হইতে শ্রেষ্ঠ বলিয়া গণনা করা যায়, তাহ হইলে অবশিষ্ট আশ্রম তিনটীর অপ্রয়োজনীয় তা স্বীকার করিতে হইলে । কিন্তু তাহ। বাস্তবিক অসঙ্গত কথা। ব্রহ্মচৰ্য্য বা প্রথমাশ্রম, সংসারাশ্রমের পূরে প্রত্যেককে প্রতিপালন করিতে হইবে এবং প্রকৃতপক্ষে আমরা সকলে অন্যভাবে তাহা করিয়া যাইতেছি। পূৰ্ব্বকালের সহিত এই প্রভেদ বুঝা যায় যে, সে অবস্থায় জীবনের উদ্দেশ্য এবং পরিণাম বিষয়ে বৈষয়িক চিন্ত ব্যতীত আধ্যাত্মিক চিন্ত। করিবার প্রয়োজন হয় না । যদ্যপি আধ্যাত্মিক চিন্তার পাত্র হইয়। সংসার চিন্তা করা যায়, তাহা