বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ՀԵd } হউক, আমার মনের কথা তাহাকে খুলিয়া বলা উচিত, কিন্তু ব্রাহ্মণ বার বার রুক্মিণীর সমক্ষে গমন করিয়াও আত্মদেীৰ্ব্বল্য প্রকাশ করিতে পারিলেন না । তদনন্তর ক্ষুন্নমনে অতি ক্লেশে নিজ কুটিরে প্রত্যাগমন করিয়া দেখিলেন যে, তথায় অট্টালিকা হইয়। গিয়াছে এবং ব্রাহ্মণী হীরকাদি অলঙ্কারে বিভূষিত হইয়া রহিয়াছেন। প্রথমে ব্রাহ্মণের ভ্রম হয়, পরে সহসা অবস্থা পরিবর্তনের কারণ ব্রাহ্মণীকে জিজ্ঞাসা করায় ব্রাহ্মণী কহিলেন, তুমি চলিয়া যাইলে পর একদিন রাত্রে আমি সহসা নিদ্রোখিত হইয়া দেখিলাম, যে গৃহটী জ্যোতিঃতে পরিপূর্ণ হইয়াছে। কত অপূৰ্ব্ব মূৰ্ত্তি দেখিলাম, একজন নবীন-নীরদ-খাম-কলেবর তরুণবয়স্ক বালক আমার দিকে চাহিয়া বলিল, “দেখ ! চেয়ে দেখ মা ! আমি তোমার পুত্র । পুত্রের সাধ কি পূর্ণ হইল ?” জন্মাবধি আমায় ম৷ বলিয়া কেহ ডাকে নাই। মা বলিলে মাতার প্রাণে কি হয়, আমি জানিতাম না । যখন আমার মা ! মা ! বলিয়া বার বার ডাকিল, তোমায় সত্য বলিতেছি, আমার শুষ্ক পয়োধৱে পয়োনিধি আবিভূত হইয়া ফোয়ারার ন্যান্ন উহ। বালকের মুখে পতিত হইতে লাগিল । আমি আনন্দে বিহ্বল হইয়। বাহুপ্রসারণ পূৰ্ব্বক গোপাল ! গোপাল ! বলিয়া তাহাকে ক্রোড়ে লইয়া কত স্তন্যসুধা যে পান করাইলাম, তাহ। আর কি বলিব ! এইরূপে আমি পরমানন্দে গোপালকে ক্রোড়ে লইয়া পরমানন্দ সম্ভোগ করিতেছিলাম, কিন্তু জানি না, বালক সহসা দণ্ডায়মান হইয়া বলিল, “মা ! আমি মনে করিয়াছিলাম যে, দিন কতক থাকিব, কিন্তু পিতা থাকিতে দিলেন না।” এই বলিয়া কোথায় অদৃশু হইয়া গেল। আমি তাহাকে কত অনুসন্ধান করিলাম, কিন্তু আর দেখিতে পাইলাম না। কিন্তু সেইদিন হইতে এই ঐশ্বৰ্য্য সকল আপনি