বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৯৫ ] সংসারে স্বার্থযুক্ত প্রেম বা কামের ক্রীড়ার বস্তু হইয় কেমন করিয়া প্রেমময়কে লাভ করা যায়, তাহাই কৃষ্ণাবতারে লীলা করিয়া গিয়াছেন । সাধারণ স্ত্রীলোকের যে প্রকার সংসার ধৰ্ম্মানুসারে পরিচালিত হইয়৷ থাকেন, শ্ৰীমতিও তদ্রুপভাবে কার্য্য করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । তিনি আয়ানের সহিত উদ্বাহগুস্থলে আবদ্ধ হইয়। কুটিলপ্রাণী ননদিনী প্রভৃতি পতির পরিজনবর্গের সহিত সংসারচক্রে বিবৃণিত হইয়াছিলেন । তিনি পতিকে পতিভক্তিও করিতেন । আয়ানের সহিত মধুরপ্রেমের সম্বন্ধ স্থাপন হইবার পরেই শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রীমতি অনুরাগিনী হইয় পড়েন । যেমন কুলবালা স্বামী সত্ত্বে অন্য পুরুষের অনুবৰ্ত্তিনী হইয় আপন গৃহক{ৰ্য্য সম্পন্ন করিয়া ও নায়ককে বিস্মৃত হন না, শ্রীমতি তাহাপেক্ষা অধিক কিছুই করেন নাই। এই কথা সৰ্ব্বদ। সন্দেহ হয় যে, হলদিনীশক্তিরূপ রাধিকার কুলবালাদিগের বিমল পাতিব্ৰত্য ধৰ্ম্ম বিকৃত করিয়! দ্বচারিণী হইবার সুপ্রণালী যত্নসহকারে প্রকটিত করিবার নিমিত্ত মহাবৈকুণ্ঠ পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক নরলীল করিতে আসিবার এত প্রয়োজন হইয়াছিল ? আমরা সংসারে ভ্রষ্টাচারিণীদিগের জালায় জ্বলিয়া মরিতেছি, জগতজননীর একি অদ্ভুত লীলা ? লীলাময় শ্রীহরির লীলায় প্রবেশ করিবার অধিকার আপনি না প্রদান করিলে আর কাহারও দ্বার। তাহ! হয় না। প্রভু আমার, দয়াপরবশে এই লীলা রহস্য সম্বন্ধে বলিয়া গিয়াছেন যে, যে নরনারী ভগবান লাভ করিয়া প্রেমানন্দ সম্ভোগ করিবে, তাহাকে শ্রীমতির ন্যায় অকুরাগিনী হইতে হইবে । শ্ৰীমতি আয়ানকে পতি জানিয়াও তাহাকে পরিত্যাগ পূর্বক শ্ৰীকৃষ্ণের সহিত পতি ভাবে মধুর প্রেমবিহার করিয়াছিলেন, জীবগণ তাহাই শিক্ষা করিবে । শ্রীমতির পতি ত্যাগ করায় ব্যভিচারিণীর ভাব প্রকাশ পায় নাই। কারণ, জড় পতি ত্যাগ করিয়া অন্য জড় পতির অনুরাগিনী হইলে