বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৯৭ ! কত কথাই বলিয়া তিরস্কার করিত। শ্রীমতির লাঞ্ছনার অবধি ছিল না । তিনি যে কোন অবস্থায় থাকিতেন, যে কোন কাৰ্য্য করিতেন, যে কোন স্থানে যাইতেন, প্রতি পদে পদে নিগ্ৰহ পাইতেন । অনুরাগিনী, জীবকে কৃষ্ণানুরাগ শিক্ষা দিবার জন্য কত ক্লেশ পাইয়াছেন, তাহার অবধি করিতে কাহার শক্তিতে সঙ্কুলীন হইবে ? ঈশ্বরানুরাগ জন্মিলে লোকালয়ে সহসা তাহার আদর হয় না, লোকালয়ে ঈশ্বরানুরাগীকে বাতুল বলে, কলঙ্কিনী বলে, ভ্রষ্টাচারিণী বলে। ঈশ্বরানুরাগীর প্রত্যেক কাৰ্য্যে জটিলাকুটিলাস্বভাবস্বরূপ লোকের শেষারোপ করিয়া বেড়ায় । ইহাই তাহাদের কার্ষ্য। শ্ৰীমতি শ্রীকৃষ্ণের অনুগামিনী হইয়াছিলেন বলিয়া তাহার কি পরিমাণে ক্লেশ হইত এবং সেই ক্লেশের জন্য তাহার প্রাণের কি প্রকার অবস্থা হইত, প্রভু আমার একটা গীতের দ্বারা তাহা প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন । শ্ৰীমতি একদিন যমুনাতে জল আনয়ন করিতে যাইয়া সঙ্গিনীদিগকে সস্বোধন করিয়৷ কহিয়াছিলেন,— সখি ! ঘরে যাবইন গে! ( আর ), যে ঘরে ক্লঞ্চ নামটী করা দ’ব । যেতে হয়তে তোরাই যা, গিয়ে বলবি— যার রাধা তার সঙ্গে গেল ( যমুনায় রাই ডুবে ম’ল, হা কৃষ্ণ হ৷ কৃষ্ণ ব’লে গো ) । আমি যদি পরি নীল বসন, বলে ঐ ভামের উদ্দীপন । যদি চাই মেঘ পানে, বলে ক্লষ্ণকে পড়েছে মনে । যদি কা’র বাড়ী যাই, বলে এল কলঙ্কিনী রাই । যখন থাকি রন্ধনশালে, কৃষ্ণরূপ মনে হ’লে, আমি কঁাদি সখি ধ্রুয়ার ছলে ।