বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ లe e ) ছেন, জীবগণ ! আয় কৃষ্ণপ্রেম নিয়ে যা। দেবতাদুল্লভ মধুর প্রেম জীবের কল্যাণের জন্য আনিয়াছি। এই প্রেমে শিব শ্মশানে পরমানন্দে বিভোর থাকেন, নারদ প্রেমোন্মত্ততায় অহনিশি গুণ গান করিয়া বেড়ায়। আয়, তোর সংসারে বসিয়া প্রেমময়ের প্রেমরূপ দৰ্শন পূর্বক জীবন সার্থক করিয়া লইয়া যা ! শ্ৰীগৌরাঙ্গদেব ভাবাবেশে শ্রীকৃষ্ণের প্রেমরহস্য ভেদ করিয়া গিয়াছেন । তিনি প্রেমের ভিখারী, অন্য কোন বস্তুর দ্বারা তাহাকে লাভ করা যায় না । কঠোর তপস্যাবলে তাহাকে লাভ করা যায় বটে, কিন্তু সে লাভ ক্ষণিক মাত্র, চপল চকিতের ন্তাষ দর্শন দিয়া অদৃপ্ত হইয়া যান। শাস্ত্রে তাহার ভুরি ভুরি দৃষ্ঠাস্ত আছে : ভগবান প্রত্যক্ষ হইয়া বরদান পূৰ্ব্বক অন্তৰ্দ্ধান হইয় যান। কিন্তু প্রেমের সম্বন্ধ হইলে আর তিনি পলাইতে পারেন না । পলাইবেন কোথায় ? তিনি যে অস্থির লইয়া প্রেমিকের নিকট আসিয়া উপস্থিত হন । রামকৃষ্ণদেব বলিতেন যে, শ্রীমতির অনুরাগের অনুকরণ করিতে পারিলে তবে ভগবানের দর্শনমুখ চরিতার্থ হইতে পারে। রাধাভাব যে কেবল স্ত্রীলোকদিগের পক্ষে বিধি, তাহা নহে, নরনারী উভয়েরই অবলম্বনীয় । আয়ানকে ক্লীব করিয়া এই ভাল প্রকাশ করিয়াছেন । যে সংসারে কৃষ্ণের সম্বন্ধ স্থাপিত হয়, "সেই সংসারে নর ক্লীব হইবে অর্থাৎ তাহার জড়পুরুষত্ব ভাব একেবারে যাইবে । তাহার পুরুষভাব বিদূরিত হইলে স্ত্রীর সহিত জড় সম্বন্ধ আর থাকিবে না। তখন উভয়ে শ্ৰীকৃষ্ণের দাসী হইয়। প্রেমে সংসার করিতে থাকিবে । প্রেমে ঈশ্বর লাভের এই পরিণাম । কামের লেশমাত্র থাকিতে প্রেমের সঞ্চার হইতে পারে না, যখন কাম সমূলে মূলোৎপাটিত হয়, তখন প্রেম ব্যতীত আর কিছুই থাকিতে পারে না। প্রেম উপস্থিত হইলে