বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిe 8 জন্য আমায় দশজনের নিকটে গঞ্জন শুনিতে হইবে । বিবাহ দিক্তে চাহিলাম, সকল আয়োজন করিলাম, কিছুতেই কথা রহিল না। বিবাহ করিলেও বুঝিতাম যে, তুই না পারিস, তোর পরিবর্তে একজন ব্রাহ্মণী সহায়তা করিতেছে । তোর কোন জ্ঞান হইল না, কি বলিব ? ব্রাহ্মণী, আহা ! অতি সজ্জনের কন্যা, তাই সংসারের কার্য্য আপনি আনন্দমনে সম্পন্ন করিয়া তোকে দুইবেলা অন্ন দান করিতেছেন । তোর স্ত্রী থাকিলে অন্ততঃ পরিচারিকার ব্যয় বাচিয়া যাইত। তুই নিজে কোন প্রকার সহায়তা করিবি না, বরং আমার অনিষ্ট করিবার সুযোগ পাইলে তাহ যত্নপূর্বক সমাধা করিয়! থাকিস্ । যাহ। সহ্য করিবার নয়, ভাই বলিয়, তাহাও এতদিন সহিয়। আসিলাম। এক্ষণে একটা কথা বলি শোন । হয় কল্য প্রাতঃকালে উঠিয়া স্নানাদিপূর্বক ব্রাহ্ম ণের অবস্থ্যকৰ্ত্তব্য সন্ধ্য গায়ত্ৰী জপ করিয়া সাংসারিক কাৰ্য্যাদি দেখিতে হইবে, না হয় আমার সহিত তোর এই শেষ সম্বন্ধ । আমি যদ্যপি ব্রাহ্মণ হই, তাহ হইলে এ কথা কখনও খণ্ডন হইবে ন। এই কথা বলিয়। ব্রাহ্মপ কাৰ্য্যাস্তরে চলিয়। যাইলে কনিষ্ঠ বাটীর ভিতরে গমন করিয়৷ জ্যেষ্ঠের পত্নিকে সম্মুখে দেখিতে পাইয়। কহিলেন, দাদা আজ আমায় অতিশয় তিরস্কার করিয়াছেন, সংসারের সমুদয় কার্য করিতে বলিয়াছেন। আমি কল্যাবপি সমুদয় কার্য্য করিব । বধু ঠাকুরাণী দেবরের কথা শুনিয়া সহস্তে কহিলেন, বটে ? আমার কপার ফিরিয়াছে। তুমি অন্য কিছু কর আর নাই কর, খাইতে দিলে ভাল করিয়া পেট ভরিয়া খাইও, তাহ হইলে আমি অতিশয় আইলাদি স্ট হইব । অতঃপর কনিষ্ঠ ভট্টাচাৰ্য্য অতি বৃহৎ বৃহৎ তুলসী গাছ আনিম্ন। তাহা খণ্ড খণ্ড করিয়৷ একছড়া বিস্তীর্ণ মালা প্রস্তুত করিয়। রাখিলেন । পরদিন স্বর্য্যোদয় হইবার পূৰ্ব্বে তিনি পুষ্করিণীতে স্নান করিয়া তথাকরি