বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( లి)లి ) পতিতপ্রায় দেখিয়াও সে কিনা কৰ্ম্মস্থলে গমন করিল ? দেখুন কাঞ্চনের আসক্তি কতদূর । হৃদয়শূন্য পাষণ্ডের ব্যবহার শুনুন, বাটতে ফিরিয়া একবার জন্মের মত পুত্রের মুখদর্শন করিল না। সে স্বচ্ছন্দে আমার সহিত কতকগুলি বাজে কথা কহিয়া ঈশ্বরাকুরাগের পরিচয় দিল । সংসারের কীটগণ যেমন হইয় থাকে, ইহাকে তাহাই দেখিলাম, অধিকন্তু কিঞ্চিৎ চতুর। সহজ কথায় সাহাকে জ্যেঠা কহে। প্ৰভু ! দুই একটা তত্ত্বকথাও বলিয়াছে। নারায়ণ কহিলেন, নারদ ! আমারই ভুল হইয়াছে। উহাকে ভক্ত বলিয়া স্বীকার করিবার পূৰ্ব্বে একবার তোমার দ্বারা পরীক্ষা করিয়া লইলে ভাল হইত। আমি এইরূপে হয়ত সৰ্ব্বদাই প্রতারিত হইয়া থাকি। সে যাহা হউক, তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করি বল দেখি, তুমি কাহার ? নারদ কহিলেন প্রভু ! এ কথা আর জিজ্ঞাসা করিতেছেন কেন ? আপনার অগোচর কি আছে ? আমি আপনার পাদপদ্মে জীবন উৎসর্গ করিয়া নিশিদিন হরিগুণ গান করিয়া বেড়াইতেছি। প্রভু! আপনি আমার মন প্রাণ দেহ, আপনিই আমার ধ্যান জ্ঞান কাৰ্য্য, আপনার এবং আপনি ব্যতীত কিছুই জানি না, কিছুই দেখি না। নারায়ণ কহিলেন, ভাল কথা! নীরদ! আজ আমায় কি মনে করিয়াছিলে ? নারদ কহিলেন, মনে হয় না, বোধ হয় আপনাকে মনে করি নাই। কারণ, প্রথমে নগর ভাবিতে ভাবিতে আপনার নিকট হইতে বিদায় হইয়া যাই, পরে সেই ব্যক্তিকে এবং তাহার পারিবারিক দুর্ঘটন; ভাবিয়াছি, সে সময়েও আপনাকে স্মরণ হয় নাই। নারায়ণ কহিতে লাগিলেন, নারদ ভাবিয়া দেখ, তুমি হেন দেবষী সংসারের নামে আমায় বিস্তৃত হইয়া গিয়াছিলে, শার সেই বীরচুড়ামনি ভক্তকেশরী গৃহী আমায় বিস্তৃত হয় নাই। তুমি স্বাধীন, তোমার কোন বন্ধন নাই, তথাপি সংসারের মায়ায় বিস্তৃত