বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ هة لاك. ] যাইতে না চাহে, তাহা হইলে রঙ্গনাথজীউর জন্য অলঙ্কার প্রস্তুত করিয়া আনিতে বলিয়া দিবে। পূজারির বারাঙ্গনাকে অনেক বৃথা বুঝাইয়। পরিশেষে অলঙ্কারের কথা বলায় সে অতি কষ্টে অনুপায় দেখিয়া স্বীকার করিল। বারাঙ্গনা যদিও অলঙ্কারের নিমিত্ত স্বর্ণ মুদ্রাগুলি ফিরাইয়া লইল, কিন্তু মনের ক্লেশ নিবারণ হইল না । তাহার মনে বড়ই ভয় রহিল যে, পাপিনীর ভাগ্যে কি এমন দিন হইবে যে, রঙ্গনাথজীউ অলঙ্কার পরিবেন। যদিও মুহুমু হু হতাশ আসিয়া তাহার মন প্রাণ অবিভুত করিতেছিল, কিন্তু তথাপি সে একেবারে নিরাশ হয় নাই। কিয়দিবসের মধ্যে সমুদয় অলঙ্কার প্রস্তুত করিয়া রঙ্গনাথের সমক্ষে উপস্থিত হইল। পূজারির বারাঙ্গনাকে দেখিয়া কহিলেন, আরে পাগলী । আবার আসিয়াছিস্ ? বারাঙ্গন কহিল, আপনারা যেরূপ আজ্ঞা করিয়াছিলেন, আমি সেইরূপ করিয়াছি। এই অলঙ্কার লউন। প্রভুকে পরাইয়া দিন , আমার মনোবাসন পূর্ণ হউক। পূজারিরা মহাস্তের নিকটে বারাঙ্গনার প্রত্যাগমনবাৰ্ত্তা প্রদান করায় তিনি বিরক্ত হইয়া কহিলেন যে, তাহাকে স্পষ্ট করিয়া বল যে, বেখাপ্রদত্ত অলঙ্কার কখন শ্ৰীমূৰ্ত্তির ব্যবহার্য্য হইতে পারে না। দুষ্টার স্পৰ্দ্ধা দেখ! যখন কাঞ্চন মুদ্র পরিত্যাগ করা হয়, তখনি তাহার বুঝিয় লওয়া উচিত ছিল। বারাঙ্গন পূৰ্ব্ব হইতেই অকুল চিন্তা-সাগরে ভাসিতেছিল। সে মনে মনে বুঝিয়াছিল যে, মহান্ত কখনই অলঙ্কারগুলি লইবেন না । তথাপি একেবারে ভগ্নহৃদয়া হয় নাই। পূজারিদিগকে চিন্তাযুক্ত ভাবে আসিতে দেখিয়া বারাঙ্গনার কণ্ঠাগত প্রাণ হইয়া আসিল, তথাপি নিরাশ না হইয়া সতৃষ্ণ নয়নে তঁাহাদের সন্নিহিত হওয়া প্রতীক্ষা করিতে লাগিল। পূজারিরা সম্মুখে আসিবামাত্র বারাঙ্গনা কহিল, মহাশয়!