পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిలిషి ) লইয়া তাহাকে দেখিবার জন্য আজ্ঞা দেন, সেই দিনই প্রকৃতপক্ষে আমার ঈশ্বর লাভ হইয়াছে। রামকৃষ্ণ কি জন্য অবতার, তাহ আমার প্রথম বক্ততায় কথিত হইয়াছে। তাহার বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মের ভাব এবং বকলম, ইহাই এই অবতরণের বিশেষ লক্ষণ । শ্রীকৃষ্ণক{থত ‘যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্‌’, শ্লোকের দ্বার। বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মভাবের বীজ শ্ৰীকৃষ্ণ কর্তৃক বপন করা হইয়াছিল বলিয়। কথিত আছে। সেই বীজ এঠ দিনের পর রামকৃষ্ণের দ্বারা বুক্ষে পরিণত ও ফলফুলে পরিশোভিত হুইয়া যাইল । যে যথা মাং শ্লোকে শ্ৰীকৃষ্ণ সকল ধৰ্ম্মের আদি কারণ আপনাকে নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন। শ্রীকৃষ্ণ যখন লীলারূপ ধারণ করিয়াছিলেন, তখন তাহাকে পরিধির বিন্দুবিশেষ জ্ঞান করা কৰ্ত্তব্য। কারণ, তিনি এক ভাবের পরিচায়ক । কৃষ্ণভাবে, রাম চৈতন্য নৃসিংহ দুর্গা কালী প্রভূতি কোন ভাবের উত্তেজন হয় না, সুতরাং তিনি ভাববিশেষ মাত্র । যেমন পরিধির বিন্দুর সহিত অন্যান্ত বিন্দুর কোন সম্বন্ধ নাই, যাহা কিছু সম্বন্ধ দেখা যায়, তাহ কেন্দ্রের সহিত হইয়া থাকে, সেইরূপ কৃষ্ণরূপের সহিত অন্যান্য রূপের সম্বন্ধ থাকিতে পারে না। প্রভু কহিয়াছেন যে, রূপ মাত্রেই চিৎশক্তির গর্ভজাত, অতএব আদ্যাশক্তিই সকল রূপের উৎপত্তির কারণ। এই শক্তি, ব্ৰহ্ম অর্থাৎ সৎএর বিকাশ মাত্র । অতএব ব্রহ্ম শক্তি একত্রে মধ্যবিন্দু হইতে পারেন এবং তাহা হইতে রূপেরস্থষ্টি হয়। যদিও সকলই একের বিকাশ বা একের লীলা, কিন্তু ভাববিশেষের পার্থক্যতা থাকে বলিয়া তাহ স্বতন্ত্র বলিয়া স্বীকার করিতে হয়। শ্রীকৃষ্ণ রূপ লইয়া কেন্দ্র হইতে পারেন না। এই নিমিত্ত যে যথা মাং শ্লোকটীকে বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মের বৃক্ষ বলা যায় না। রামকৃষ্ণদেব কি বলিয়াছেন ? তিনি পরিধির