বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ లల8 ) শরণাপন্ন হইবে ? বকলম দিবার কথা কোন দেবদেবী, কোন অবতার অদ্যাপি বলেন নাই। অন্যান্য সমুদয় ভাবে এবং রূপে সাধন আছে । সাধনবিহীন হইয়। কখন অন্য কোন ভাবের ফল প্রাপ্ত হইবার উপায় নাই। এই জন্য এইরূপ নিরুপায় নরনারীদিগের রামকৃষ্ণই এক মাত্র আশ্রয়স্থল । যাহার এই ভবসাগরে পড়িয়া হাবুডুবু খাইতেছে, রামকৃষ্ণদেব তাহাদের জীবন রক্ষার অবলম্বনবিশেষ । রামকৃষ্ণদেব তিনভাবে কাৰ্য্য করিতেছেন, ভগবান, গুরু এবং আচাৰ্য্য বা উপগুরু । আমাদের তিনি ভগবান এবং গুরু । এ সম্বন্ধ সকলের সহিত স্থাপিত হইতে পারে না । কিন্তু আচাৰ্য্যরূপে তিনি সমগ্র পৃথিবী অধিকার করিবেন। বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মভাব বৰ্ত্তমান কালের যুগধৰ্ম্ম। এই যুগধৰ্ম্মের নিমিত্ত সকলে অপেক্ষা করিতেছেন । বিশ্বজনীন ধৰ্ম্ম অথবা সকল ধৰ্ম্মের মূল এক, তাহ কাহার কথায় বিশ্বাস করিবে ? এ পর্য্যন্ত কেহ সে কথ! জানিতেন না। জানিবেন কি ? তাহ মনুষ্যকল্পিত হইতে পারে না : তিনি নিজে সাধন পূর্বক প্রত্যেক ধৰ্ম্মের সার বাহির করিয়াছিলেন, সেইজন্য সকল ধৰ্ম্মের সত্য এক, ইহা কেবল রামকৃষ্ণদেবের বলিবার অধিকার আছে। কে বলিল মুষলমানধৰ্ম্ম সত্য ? রামকৃষ্ণদেব । তাহার এ কথা বলিবার অধিকার কি ? তিনি গোবিন্দ দাসের নিকটে দীক্ষা লইয়৷ সাধন করিয়াছিলেন । এই নিমিত্ত র্তাহার কথা প্রামাণ্য । কে বলিল যে, বেদান্তের ভাব সত্য ? রামকৃষ্ণদেব । তিনি কি পুস্তক পাঠ করিয়া বলিয়াছেন ? না । তিনি তোতাপুরি নামক নেংটা সাধুর নিকটে দীক্ষিত হইয়া নিৰ্ব্বিকল্প সমাধি লাভপূর্বক বৈদাস্তিক নিরাকারভাবের তাৎপৰ্য্য ব্যক্ত করিয়া গিয়াছেন। কে বলিল যে, পুরাণতন্ত্র সত্য ? রামকৃষ্ণদেব । কারণ, তিনি প্রত্যেক দেবতার সাধন করিয়া