বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిఁ) ) ধৰ্ম্মজগতের বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মভাব সম্বন্ধে রামকৃষ্ণদেব আপনি আপনাকে দুঃস্তিস্বরূপ যাহ। দেখাইয়াছেন, তাহার আশ্রয় লইলে এই চিরাকাঙ্ক্ষিত সৰ্ব্বজনকল্যানকর বিষয়টার যথার্থ মীমাংসা প্রাপ্ত হওয়া যাইবে । রামকৃষ্ণদেব বলিয়াছেন যে, “অদ্বৈত জ্ঞান আঁচলে বেঁধে যা ইচ্ছা তাই কর” । তিনি বলিতেন যে, কাহাকে কোন বিষয় শিখাইয়া না দিলে সে কখন আপনি তাহ। শিক্ষা করিতে পারে না। শিক্ষার পরে উহ। অভ্যাস করিলে তবে তাহা হইতে সুফল ফলিবার সম্ভাবনা । তিনি দৃষ্টান্ত দিয়া বলিতেন যে, “নাক তেরা খেটি” তবলার বোল মুখে শিক্ষা করিতে এক মুহূর্বের অধিক সময় লাগে না, কিন্তু হাতে অভ্যাস করিয়া বাদ্যযন্ত্রে বোল্টা স্পষ্ট করিয়া বাহির করিতে ছয় মাস লাগে। অর্থাৎ যে কোন বিষয় হউক, সে বিষয়টার আদ্যোপান্ত মৰ্ম্ম অবগত হইয়। আপন শক্তি অকুসারে কার্য্য করিলে কার্য্যানুরূপ ফল ফলে । তিনি আরও বলিতেন যে, পজিতে লেখা থাকে যে, এ বৎসরে ২০ আড়ি জল হইবে । কিন্তু পাজি নিংড়াইলে কি এক ফোট জল বাহির হইতে পারে ? এই নিমিত্ত সকলকে বিশেষ সতর্ক হইবার জন্য বলিতেন যে, সিদ্ধি খাইলে আনন্দ হয়, কিন্তু সিদ্ধি সিদ্ধি করিয়া যদ্যপি জীবনান্তকাল পর্ষ্যন্ত কেহ চিৎকার করে, তাহা হইলে সে কখনই সিদ্ধির আনন্দ উপলব্ধি করিতে পারিবে না। যদ্যপি সে অন্যমনস্ক হইয়া যাইবার নিমিত্ত সাময়িক শাস্তির আভাস প্রাপ্ত হয়, তাহাকে সিদ্ধির আনন্দ কহ যাইতে পারে না, সিদ্ধির আনন্দ লাভ করিতে হইলে সিদ্ধি আনয়ন করিতে হইবে, কেবল আনয়ন করিলে হইবে না, তাহাকে ঘুটিতে হইবে ; কেবল মুখের ভিতর রাখিলেও হইবে না, তাহ গিলিয়া ফেলিতে হইবে; তৎক্ষণাৎ উদীয়শ