বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৬৪ ] কাম ক্রোধ লোভ মোহাদি বৃত্তিদিগের উদয়, ক্রমে স্বীয় স্বীয় কার্য্য সম্পাদন হওয়াও সৰ্ব্বত্রে সমান। দয়াদাক্ষিণ্যাদির কার্য্য কোন ব্যক্তির ইতরবিশেষ হয় না, কিন্তু উল্লিখিত কাৰ্য্যপদ্ধতির স্থিরতা নাই। এক ভাব সৰ্ব্বত্রে দেখা যায় না । আহার করা মানুষের সাধারণ ধৰ্ম্ম । যে জাতি হউক, যে বর্ণ হউক, যেরূপ অবস্থাপন্ন ব্যক্তি হউক, সকলেই আহার করিয়া থাকেন। কিন্তু যাহ। তাহারা আহার করেন, তাহ কোনমতে সৰ্ব্বত্রে সমান হইতে পারে না। কেহ হবিষ্যান্ন অহারে তুষ্ট লাভ করেন, কেহ মৎস্যাদির সম্বন্ধ ব্যতীত এক গ্রাস অন্ন গলধঃস্থ করিতে অসমর্থ হন, কেহ মৎস্যাদির আড়ম্বর ভিন্ন পশুর আহার মনে করেন। হিন্দুর সাত্ত্বিকাহারে মাছ মাংসের সম্বন্ধ নিষেধ, রাজসিক ও তামসিক আহারে মৎস্যমাংসের শ্রাদ্ধ হইয়া থাকে । কিন্তু হিন্দুর আহারের সহিত যবন এবং স্নেচ্ছের আহারের তুলনা হয় না । আহারের স্কুল ভাব দেখিলে কাহারও সহিত কাহারও সামঞ্জস্য রক্ষা করিবার সম্ভাবন নাই, কিন্তু উদ্দেশ্যে সকলেই এক ভাবের পরিচয় দেয় । মানব প্রকৃতির আর একটা দৃষ্টান্ত গৃহীত হউক। দয়া, এই বৃত্তিটার দ্বারা পরদুঃখনিবারণ ও পরোপকার কার্য্যে মনুষ্যদিগকে নিয়োজিত করিয়া থাকে । দুঃখ এক জাতীয় নহে । আমাদের জীবনটাই দুঃখময়, যে স্থানে বসতি, তাহাও দুঃখে পরিপূর্ণ, যাহাদের সহিত বাস করা যায়, তাহারাও দুঃখাধারবিশেষ । মনুষ্যদিগের দুঃখ অপার, অনন্ত এবং বচনাতীত বিষয় । মানসিক, শারীরিক, আধ্যাত্মিক, এই ত্ৰিবিধ সাম্রাজ্যের দুঃখ কাহিনী বলিতে গেলে বেদব্যাসের অবতরণ হওয়া আবশ্যক। সে যাহ। হউক, মনুষ্যের দয়াপরবশে রুচি এবং শক্ত্যমুসারে সর্বদ। কাৰ্য্যক্ষেত্রে পরিভ্রমণ করিতেছেন। কেহ মানসিক উন্নতির জষ্ঠ