বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ७११ ] সস্তৃত । শক্তি এবং পদার্থ বিভাগ করিতে যাইলে পদার্থ হারাইয় যায়। যেমন, জল ও বাপ এক পদার্থ, উত্তাপশক্তির দ্বারা অবস্থাস্তর হয় বলিয়া উল্লিখিত, কিন্তু পদার্থ এবং শক্তি উভয়ে এত জড়িত যে, উহাদের কাহাকেই স্বতন্ত্র করা যায় না। এই নিমিত্ত কেহ পদার্থ এবং শক্তি স্বীকার করেন । কেহ কেবল শক্তি স্বীকার করেন। রামকৃষ্ণদেব সৰ্ব্বত্রে শক্তিকেই সকলের নিদান বুঝিয়া টাকা এবং মাটি এক শক্তির বিকাশ জ্ঞান করিয়াছিলেন । তিনি কেবল টাকা মাটির অদ্বৈতভাব নিরূপণ করিয়া ক্ষান্ত হন নাই। অদ্বৈত বিজ্ঞানীর চক্ষে বিষ্ঠাচন্দনও এক। প্রভু আমার তাহাও পরিত্যাগ করেন নাই। তিনি আপনার বিষ্ঠা লইয়া সাধন করেন । এই কাৰ্য্য দেখিয়া জনৈক ব্রাহ্মণ উপহাস করিয়াছিলেন যে, “আপনার বিষ্ঠ। স্পর্শ করিলে যদ্যপি অদ্বৈতজ্ঞানী হয়, তাহ হইলে আবালবৃদ্ধবনিত সকলকেই তাহা বলা যাইবে না কেন ?” ব্রাহ্মণের এই উপহাস রামকৃষ্ণদেব দৈববাণীবিশেষ বলিয়া গ্রহণ করিলেন। তিনি সাধারণ ব্যক্তিদিগের ন্যায় ক্রোধান্ধ হইয়া তাহাকে সাধ্যমত তিরস্কার করিতে যাইলেন না। তিনি আপনাপনি বুঝিলেন যে, ব্রাহ্মণ বাস্তবিক কথা বলিয়াছেন। তিনি পরদিবস অদ্বৈতজ্ঞানের সহায়তায় গঙ্গাতীরে গমনপূৰ্ব্ব ক সদ্যতক্ত মল জিহার দ্বারা বার বার স্পর্শ করিয়া হৃষ্টমনে প্রত্যাগমন করিলেন । তদনন্তর রামকৃষ্ণদেব ভাবের খেলা আরম্ভ করেন। তিনি ধর্মের বিবিধ ভাবের তাৎপৰ্য্য বাহির কারবার নিমিত্ত অতি সামান্ত ব্রত, যথ। গোকল হইতে প্রায় সকল প্রকার ভাব লইয়া সাধন করিয়াছিলেন। অদ্বৈতবিজ্ঞান লাভ করিবার ন্যায় এই সকল সাধনের সময়ও তেমনি তিন দিনের অধিক সময়ের প্রয়োজন হয় নাই ! আশ্চর্যের বিষয় এই বে প্রত্যেক ভাব সাধনের সময় সেই ভাবের একজন সিদ্ধ পুরুষ