বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f Erg ) করেন। গুডফ্রাইডের দিনে বেলা দুইপ্রহরের সময় একজন স্থূলকায় সুদীর্ঘবিশালচক্ষুবিশিষ্ট কৃষ্ণবর্ণ সাহেবী পরিচ্ছদে বিভূষিত একজন ব্যক্তিকে কেদার বাবুর সহিত আসিতে দেখিয়া আমরা উইলেম বলিয়া বুঝিলাম এবং অতি দ্রুতপদে প্রভুকে যাইয়া জ্ঞাপন করিলাম। প্ৰভু উইলেমের নাম শ্রবণমাত্রে বৎসহারা গাভীর ন্যায় উইলেমের নিকটে ছুটিয়া আসিলেন। উইলেম নগ্নপদে মস্তকাবনত করিয়া বহির্দেশে অপেক্ষা করিতেছিলেন। প্ৰভু নিকটে আসিবামাত্র অমনি চরণটুম্বনপূৰ্ব্বক নয়নবারিরম্বারা তাহ ধৌত করিয়া দিলেন। সে দিনের কাহিনী কি বলিব । যাহা কখন শুনি নাই, যাহা কখন দেখি নাই, যাহা কেহ শুনেনাই,দেখেনাই, ভগবরাজ্যের অমিয় প্রেমের খেলার কি অদ্ভূত রহস্ত, তাহাও দর্শন করিলাম। প্রভু আমার উইলেমকে লইয়া ভাবে বিভোর এবং তাহার হস্ত ধারণপূর্বক আপন গৃহে লইয়া যাইয়া সম্মুখে উপবেশন করাইলেন। উইলেম কোন কথা কহিলেন না। কেবল কৃতাঞ্জলিপুটে প্রভুর মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন। প্রভু তাহাকে দুইদিন আসিবার আজ্ঞা করিলেন। তদন্তর উইলেম প্রভুকেই খ্ৰীষ্টরূপে দর্শন করিয়া পশ্চিমাঞ্চলের পাৰ্ব্বত্য প্রদেশের নিভৃত গিরিগুহাবাসী হইয়া যাইলেন । হিন্দুধৰ্ম্মের অন্যান্য সকল প্রকার ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের সমুদয় নরনারী রামকৃষ্ণদেবকে আপনাপন ধৰ্ম্মের দেবতা বা ভগবান বলিয়া বুঝিতেন । হিন্দুধৰ্ম্মত্যাগী ব্রাহ্মেরাও রামকৃষ্ণদেবকে তাহাদের অভিলষিত, তাহাদের ধারণাসঙ্গত, খ্ৰীষ্ট, মহম্মদ, চৈতন্য প্রভৃতি মহাপুরুষদিগের ষ্ঠায় মহাপুরুষ বলিয়া আশ্ৰয় লইয়াছিলেন। ব্রাহ্মদিগের মধ্যে আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় কেশব বাবুর প্রতি তাহার সমধিক কৃপা ছিল। কেশব বাবু যখন আদিব্রাহ্মসমাজে ছিলেন, তখন একদিন রামকৃষ্ণদেব তথায় গমন করিয়াছিলেন। উপাসনান্তে মহর্ষি সমাজের কার্য্যাদি ९®